দামটা যদিও একটু বেশি। তবে এই মিষ্টি শিঙাড়ার সাইজ দেখলে চোখ কপালে উঠবেআপনারও। মহাদেববাবুর তৈরি এই রসালো মিষ্টি শিঙাড়া বালুরঘাটবাসীর মধ্যে যথেষ্ট ছাপ ফেলেছে। শিঙাড়া কম বেশি সব জায়গায় পাওয়া গেলেও আলিপুরদুয়ার থেকে আগত মহাদেব বাবুর দশ টাকার শিঙাড়ারএকটা আলাদাই মোহ আছে। যা ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর ধরে মিষ্টির পাশাপাশি নিজের তৈরি পুর ভরা মিষ্টি শিঙাড়া বানিয়ে যাচ্ছেন মহাদেব রায়। তাঁর বাড়িতে সকল সদস্যই সারা দিন এটা তৈরিতে হাত লাগান। বিকেল হতেই মিষ্টি শিঙাড়া কিনতে শহরবাসীর ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। আট থেকে আশি যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই দেখিয়ে দেবে মিষ্টি শিঙাড়ার দোকান। তবে শুধুই শিঙাড়াই নয়, এই দোকানে পাওয়া যায় অনেক সেরা স্বাদের মালপোয়া, গজা, জিলিপি-সহ নানা মুখরোচক খাবার। যার সাইজ ওই একই রকম বড় আকৃতির। একটা খেলেই মন ও পেট দুই ভরবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ৬৫০ বছরের রটন্তী কালীপুজোয় পালো পিঠে ও খেড়োর তরকারি দিয়ে ভোগ নিবেদন, পরের সকালেই প্রতিমা নিরঞ্জন
এ বিষয়ে মহাদেব বাবু জানান, “এই মিষ্টি শিঙাড়ার পুর তৈরি করা হয় সুজি, নারকেল, বাদাম, কিশমিশ দিয়ে। দোকানে যে সমস্ত খাবার তৈরি করা হয় তার প্রত্যেকটা জিনিসের গুণগতমানের দিকে প্রথমে আমাকে লক্ষ রেখে বানাতে হয়।’’
কয়েক জন ক্রেতা জানান, ‘‘ সচরাচর আমরা ঝাল শিঙাড়া খেয়ে থাকি। কিন্তু বালুরঘাটে এই মিষ্টি রসালো শিঙাড়া এই প্রথম। মহাদেববাবুর তৈরি রসালো শিঙাড়া টাটকা। কোনও ধরনের ভেজাল থাকে না। খেতেও অতি সুস্বাদু।’’
শুরুতে প্রতিদিন তেমন ভাবে কদর না পাওয়া গেলেও বর্তমানে এই মিষ্টি শিঙাড়া বিক্রি করেই দিনে দিনে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। এমনকি অনেক ক্রেতাদের হাত খালি নিয়েই ফিরে যেতে হয় তার দোকান থেকে। নিমেষেই যেন শেষ হয়ে যায় তাঁর তৈরি রসালো মিষ্টি শিঙাড়া।