রান্নার আগে ডাল ভিজিয়ে রাখতেই হবে৷ বলেছেন রুজুতা৷ কারণ, ডাল ভিজিয়ে রাখলে অ্যান্টি নিউট্রিয়েন্টস দূর হয়ে যায়৷ বৃদ্ধি পায় উপকারী উৎসেচকও৷
প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল ডাল৷ কিন্তু ঠিকমতো ব্যবহার না করলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস, পেট ফেঁপে যাওয়া, বদহজমের মতো একাধিক সমস্যা দেখা দেয়৷ সমাধানের জন্য ডাল রান্নার আগে থেকে ভাল করে ভিজিয়ে রাখতে হবে৷
advertisement
আরও পড়ুন : রান্নায় নুন বেশি হয়ে গিয়েছে? ঘাবড়াবেন না, রয়েছে সহজ উপায়
দ্বিতীয়ত রুজুতা মনে করেন ডাল ও দানাশস্য সঠিক অনুপাতে মেশতে হবে৷ ডাল ও অন্য শস্য ১:৩ এবং ডাল ও মিলেট মেশাতে হবে ১:২ অনুপাতে৷ চাল ও ডালে ক্ষেত্রে এই অনুপাত ১:৩৷ ডালের সঙ্গে মিলেট, দানাশস্যের মিশ্রণ মেশাতে হলে অনুপাত হবে ১:২৷ এর কারণও জানিয়েছেন তিনি৷ বলেছেন, ডালে মেথিওনাইন কম থাকে৷ আবার দানাশস্যে কম থাকে লাইসিন৷ এই উপাদান আবার ডালে প্রচুর আছে৷ তাই ডালের সঙ্গে দানাশস্য ও মিলেট মিশিয়ে নিলে সর্বোত্তম উপকারিতা পাওয়া যায় বলে রুজুতার মত৷
আরও পড়ুন : রান্নার সময় প্রায়ই কড়াইয়ের গায়ে লেগে গিয়ে পুড়ে যায়? রইল সমাধান
আরও পড়ুন : ফ্যাট মানেই খারাপ নয়, দৈনিক আহারে রাখুন উপকারী ফ্যাটজাতীয় এই খাবারগুলিকে
তৃতীয়ত, রুজুতার কথায়, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের সপ্তাহে অন্তত ৫ রকম ডাল ও দানাশস্য ৫ ভাবে খাওয়া উচিত৷ ডাল, পাপড়, আচার, ইডলি, ধোসা, লাড্ডু, হালুয়া-সহ নানাভাবে ডাল খাওয়ার কথা বলেছেন রুজুতা৷ তাহলে স্বাদের বৈচিত্রের পাশাপাশি সুস্থতাও নিশ্চিত হয় বলে মনে করেন রুজুতা৷