এই সমস্যা এড়াতে এখন ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে রিভার্স হেয়ার ওয়াশিং (reverse hair washing)৷ নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে এই পদ্ধতি৷ এখানে প্রথমে চুলে কন্ডিশনিং করা হয়৷ তার পর দেওয়া হয় শ্যাম্পু৷ এই পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ধরা থাকে চুলের গোড়াতেই৷ ফলে চুল হয়ে ওঠে মজবুত এবং উজ্জ্বল৷ অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন তেল-শ্যাম্পু-কন্ডিশনিং চক্রের তুলনায় রিভার্স হেয়ার ওয়াশিং অনেক বেশি কার্যকর৷ পাশাপাশি, চুলের চটচটে ভাবও দূর হয়ে যায় এই পদ্ধতিতে৷
advertisement
আরও পড়ুন : ঘরোয়া ক্রিসমাস পার্টিতে কীভাবে সাজাবেন টেবিল? রইল সহজেই কিস্তিমাতের টিপস
এ বার জেনে নেওয়া যাক রিভার্স ওয়াশিং সম্বন্ধে-
শ্যাম্পু দিলে চুল থেকে সেবাম উধাও হয়ে যায়৷ অতিরিক্ত কন্ডিশনারের ফলে চুল নিষ্প্রাণ মনে হয়৷ তাই রিভার্স ওয়াশিং-য়ে প্রথমে চুলে কন্ডিশনিং দেওয়া হয়৷ কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করার পর মাথা ভাল করে ধুয়ে শ্যাম্পু করা হয়৷ এর ফলে চুলের সেবাম বজায় থাকে নিজের স্থানেই৷ আবার শ্যাম্পুর প্রভাবে চুল নিষ্প্রাণও হয়ে পড়ে না৷ কন্ডিশনিং এবং শ্যাম্পু-দু’টির উপকারিতাই অটুট থাকে চুলের রূপটানে৷
আরও পড়ুন : শীত এলেই অ্যালকোহলে চুমুক? জানুন আসলে কোন পানীয় ঠান্ডা থেকে আমাদের রক্ষা করে
তবে রিভার্স ওয়াশিং-এর কিছু বিরূপ দিকও আছে৷ শ্যাম্পুর পিএইচ ব্যালেন্স সাধারণত চড়া হয়৷ অন্যদিকে কন্ডিশনারের পিএইচ ব্যালেন্স কম৷ এই ভারসাম্যই ভাল রাখে আপনার চুল৷ আপনার চুল যদি মোটা এবং জটপ্রবণ হয়, তাহলে এই রূপটান অনুসরণ না করাই ভাল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ এর ফলে চুলের কিউটিকলস ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ তার ফলে চুলে আরও জট পড়ে৷