অনিল হাজারিকা জানিয়েছেন, স্থূলতা জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রথম আসন হল সূর্য নমস্কার। এটায় ১২ টি মুদ্রা আছে। সূর্য নমস্কারের এই ১২ টি মুদ্রা প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ বার অভ্যাস করতে হবে।
এরমধ্যে অন্যতম আসন গুলি হল- ১) প্রণাম আসন, ২) হস্ত উত্থানাসন, ৩) পদ-হস্তাসন, ৪) অশ্ব চঞ্চলাসন, ৫) চতুরঙ্গ দণ্ডাসন, ৬) অষ্টাঙ্গ নমস্কারাসন, ৭) ভুজঙ্গাসন, ৮) নিম্নমুখী শবাসন ইত্যাদি। সূর্য নমস্কারে মোট ১২ টি আসন আছে। এরমধ্যে ৪ টি আসন শরীরকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনার জন্য উল্টোদিকে রিপিট করা বা পুনরাবৃত্তি করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: হাসপাতলে ভর্তি হয়ে গরমে আরও কাহিল হয়ে পড়ছিলেন রোগীরা! তাঁদের জন্য যা করা হল
তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, ব্যাক পেইন, ঘাড়ে ব্যথা আছে বা যাদের সদ্য কোনও অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁরা সূর্য নমস্কার করবেন না। এমনকি ঋতুস্রাবের সময় মহিলারাও সূর্য নমস্কার করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ওবেসিটি মুক্ত হওয়ার জন্য সূর্য নমস্কারের পর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ যোগা বা আসন হল ধনুরাসন। এই আসনের ফলে পেটের উপর চাপ পড়ে। ফলে নিয়মিত ধনুরাসন অভ্যাস করলে ওবিসিডিতে আক্রান্ত ব্যক্তি অনেক দ্রুত পেটে জমা হওয়া মেদ ঝরিয়ে ফেলতে সফল হন। তবে ধনুরাসনের মাধ্যমে ফলাফল পেতে হলে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সঠিকভাবে করতে হবে। ধনুরাসন করার সময় শরীরটা অনেকটা ধনুকের মতো বেঁকে থাকে। ওই অবস্থান ১০ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। তারপর আবার ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবেন। যদি ওবেসিটিতে আক্রান্ত কেউ প্রতিদিন ৫ বার ধনুরাসন অভ্যাস করেন তবে ওবেসিটি মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণেও থাকবে।
আরও পড়ুন: লেবং চা বাগান ঘিরে টি ট্যুরিজমের দাবি
উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা বা ব্যাক পেইন থাকলে, অথবা সদ্য অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে কোনওভাবেই ধনুরাসন করা যাবে না।
তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ আসনটি হল উত্থিতপদাসন বা উত্থানপদাসন। এটাও ধনুরাসনের মতই নির্দিষ্ট অবস্থানে ১০ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। তারপর আবার স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে যাওয়া যাবে। উত্থিতপদাসন যদি দিনে ১০ বার অভ্যাস করা যায় তবে ওবেসিটির বিরুদ্ধে ভালভাবে লড়াই করা সম্ভব।
হার্নিয়ার সমস্যা থাকলে, ব্যাক পেইন, ঋতুস্রাব হলে অথবা সম্প্রতি কোনও অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে উত্থিতপদাসন করবেন না।
এর বাইরে অন্য যে কোনও মানুষ এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আসন নিয়ম মেনে অভ্যাস করার মাধ্যমে সহজেই স্থূলতা জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করতে পারেন। তবে এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা যোগা প্রশিক্ষকের সঙ্গে একবার কথা বলে নেওয়া উচিত।