তবে এই কর্ন পপ করে মানুষের প্লেটে জায়গা পেয়ে আসছে খ্রিস্ট পূর্ব ৪৭০০ অব্দ থেকে৷ জার্মানি এবং আমেরিকায় পপকর্নের ঐতিহ্য আলাদা৷ জার্মানিতে মিষ্টি পপকর্ন খাওয়া হয়৷ অন্যদিকে আমেরিকায় বেশি জনপ্রিয় এর নোনতা সংস্করণ৷ প্রতি বছর ১৯ জানুয়ারি দিনটিকে আমেরিকায় পালিত হয় জাতীয় পপকর্ন দিবস (National Popcorn Day) হিসেবে৷
আরও পড়ুন : নয় শুধু সুস্বাদু সময়যাপন, আপনার সিনেমা দেখার সঙ্গী পপকর্ন স্বাস্থ্যকরও বটে
advertisement
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চিনির উপর রেশনিং করা হয়৷ ফলে লজেন্সের উৎপাদন কমে যায়৷ এই পরিস্থিতিতে আমেরিকায় পপকর্ন খাওয়ার হার বেড়ে যায় তিন গুণ৷ এর পর পপকর্নের জনপ্রিয়তা আর থেমে থাকেনি৷
আরও পড়ুন : অনেক দিন বাঁচতে চান? সুদীর্ঘ আয়ু পেতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
ছোটদের মধ্যে সুইট ক্যারামেল পপকর্ন খুবই জনপ্রিয়৷ ১৮৯৩ সালে ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপোজিশন ফেয়ার’-এ প্রথম ক্যারামেল পপকর্ন প্রদর্শিত হয়৷ সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনে পপকর্নের অবস্থানে কার্যত বিপ্লব ঘটে যায়৷ ক্যারামেল পপকর্নের আগমনে মুখরোচক এই স্ন্যাক্সের প্রতি রসনাসক্তি বেড়ে যায় অনেক গুণ৷ এর পর পপকর্ন নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে৷ এসেছে নতুন নতুন ফ্লেভার৷ তিলে তিলে পপকর্ন হয়ে উঠেছে অন্যতম লাভবান ব্যবসা৷
আরও পড়ুন : অন্তঃসত্ত্বারা এবং নতুন মা যাঁরা স্তন্যপান করাচ্ছেন, তাঁরা কি টিকা নেবেন? দ্বিধা দূর করলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
মাল্টিপ্লেক্স বা অন্যত্র পপকর্নের যে ফ্লেভারগুলি বেশি জনপ্রিয়, সেগুলির মধ্যে অন্যতম বাটার, হোয়াইট চিজ, ক্যারামেল, গার্লিক এবং টার্টল৷ পাশাপাশি পপকর্ন কুকিজ থেকে ওয়াসাবি, কেল, বেকন, পার্মাসেন-পপকর্ন তার প্রেমকিদের কোনওদিন নিরাশ করেনি৷