মাত্র দু বছর আগে যেখানে খরিদ্দারের জন্য অপেক্ষা করতে হতো সেখানেই এখন খরিদ্দারে ঠাসা। গ্রামের মানুষ সাধারণ রেস্তোঁরার খাবার থেকে এখন পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, প্যান ফ্রায়েড মোমো’র মত বর্তমান সময়োপযোগী নানা আকর্ষণীয় খাবারে দারুণ আগ্রহ দেখাচ্ছে। এই রেস্তোরাঁ ভিড় করে রয়েছে মানুষ, কেউ খাবার খাচ্ছে বসে, আবার কেউ খাবার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
কলকাতা শহর থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে হাওড়ার জুজারসাহা গ্রাম। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত গ্রামের অধিকাংশ মানুষের কাছে অজানা প্রায়, আবার অনেকেই এই ধরনের খাবার খেতে হাতে শহরে যেত। গ্রাম থেকে শহর অনেকটা দূর, তাই ইচ্ছে থাকলেও তাদের নিয়মিত সুযোগ হতো না। গ্রামের মধ্যেই সেই খাবার মিলছে ফলে আগ্রহ দারুণ, প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছে মানুষ।
ছন্দময় জীবনে হঠাৎ ছন্দ পতন হয় লকডাউনের সময়। ধীরে ধীরে মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়ছে, কাজ হারাচ্ছে এক-এক করে বহু মানুষ। কলকাতা একটি নামি রেস্তোরাঁয় কাজে যুক্ত ছিল। হঠাৎ কয়েক বছরের সেই কাজ বন্ধ হয় সৌরভের।
গৃহবন্দি থাকার পর গ্রামেই একটি ছোট্ট দোকান ঘরে রেস্তোরাঁ খোলার মনস্থির। ২০২৩ সালে আগষ্ট মাসে নতুন জার্নি শুরু, গ্রামের মানুষের আসা যাওয়া বাড়তে থাকে, বিশেষ করে যুবক-যুবতীরা এমন খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ায়। বর্তমানে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে কয়েক ঘণ্টা রীতিমত ঠাসা ক্রেতাদের ভিড়। ক্রেতাদের ভিড় বৃদ্ধি পেয়েছে, রেস্তোরাঁ সেজে উঠেছে আরও আকর্ষণীয় ভাবে। মানুষের ভিড়ও বাড়ছে আরও বেশি। এখন কারণে-অকারণে বড় হোটেল রেস্তোরাঁর মত সুস্বাদু খাবার মিলছে কম দামে। মানুষ এমন মুখোরোচক খাবার খেতে হাজির হচ্ছে এখানে।
এ প্রসঙ্গে সৌরভ দেড়িয়া জানান, শুরু থেকেই খাবারের গুণগত মান বজায় রাখা চেষ্টা। খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে পেরেছে মানুষ তাই ভিড় বাড়ছে। পিৎজা দিয়ে রেস্তোরাঁর যাত্রা শুরু, বর্তমানে বিভিন্ন রকম খাবার তৈরি হচ্ছে, মানুষ সমস্ত কিছুই বেশ আকর্ষণের সঙ্গে গ্রহণ করছেন। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসছে, প্রথমে স্বামী-স্ত্রী দু’জনে শুরু করা। বর্তমানে চারজন মিলে মানুষের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
রাকেশ মাইতি





