তবে পরভিন বেশিরভাগ সময়েই ঘটনাস্থল সম্বন্ধে কোনও তথ্য দেন না৷ তিনি চান না সেখানে অহেতুক অবাঞ্ছিত মানুষের পা পড়ুক৷ এ বারও তিনি জানাননি কোথায় পাওয়া গিয়েছে ‘জাঙ্গল ক্যাট’ বা ‘ফেলিস চাউসের’ এই শাবকদের৷ ট্যুইটারে তিনি যে ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে ক্ষেতের মাঝে পাঁচ শাবক শুয়ে আছে৷ তাদের জন্য প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করছেন গ্রামবাসীরা৷ শীতের আমেজে মিঠে রোদে এক শাবক তো হাই তুলতেই ব্যস্ত! পরভিন লিখেছেন, ‘‘ বনবিড়ালের পাঁচটি শাবককেই উদ্ধার করা গিয়েছে৷ কৃষকরা চাষ করার সময় তাদের খুঁজে পেয়েছিলেন৷’’
advertisement
আরও পড়ুন : হিমাঙ্কের নীচে থাকা গ্রামে পথের পাশে অমূল্য সম্পদ! ঠাকুমা-নাতনির আনন্দ ছুঁয়ে গেল নেটিজেনদেরও
সকালে চাষের কাজে এসে কৃষকরা যখন শাবকদের দেখতে পান, তখন তাদের মা কাছাকাছি ছিল না৷ কিন্তু মাকে ছাড়া ছোট্ট শাবকদের বেঁচে থাকা সম্ভব ছিল না৷ তাই গ্রামবাসীরা ঠিক করেন মায়ের কাছে ছানাদের ফিরিয়ে দিতে হবে৷ চাষের কাজ বন্ধ রেখে পুরো ক্ষেত ঘিরে ফেলা হয়৷ বসানো হয় ক্যামেরা৷ রাতে চারপাশে পাহারায় থাকেন গ্রামবাসী এবং বন দফতরের উদ্ধারকর্মীরা৷
আরও পড়ুন : শীতে ব্রকোলি খান না? অবহেলায় বঞ্চিত হচ্ছেন বহু উপকারিতা থেকে
এর পর রাতে ছানাদের মা এসে এক এক করে গভীর বনে নিয়ে যায় শাবকদের৷ ট্যুইটে সেই ভিডিয়োও শেয়ার করেন প্রবীণ৷ জানান, সন্ধ্যা থেকেই শাবকদের নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করে মা-বিড়াল৷ মাঝরাতের মধ্যে নির্বিঘ্নে সে সব শাবকদের নিয়ে চলে যায় ক্ষেত লাগোয়া বনের গভীরে৷ পরভিনের কথায়, চাশের ক্ষেতে বাসা তৈরি করার জন্য মা বিড়ালকে কিছুটা বেশি কাজ বা ‘ওভারটাইম’ করতে হয়েছে ঠিকই৷ কিন্তু শেষ অবধি কয়েক ঘণ্টা ধরে শাবক স্থানান্তর পর্ব নির্বিঘ্নেই হয়েছে৷ পরের দিন দুপুর দুটোর সময় ওই ক্ষেতে আবার কৃষিকাজ শুরু করেন কৃষকরা৷
আরও পড়ুন : শুধু রান্না নয়, নুনে লুকিয়ে রূপচর্চার রহস্যও
বনবিড়ালের এই পর্ব ট্যুইটারে ৩০ হাজারের বেশি বার দেখা হয়েছে৷ ‘লাইক’ করেছেন ১৬০০-র বেশি ট্যুইটারেত্তি৷ বনবিভাগ, কৃষক এবং গ্রামবাসীদের ভূমিকার মেলবন্ধনে মুগ্ধ নেটদুনিয়া৷