কোচবিহারের এক অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দত্ত জানান, “যকৃৎ বা লিভারে একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় চর্বি থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেই নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ বেশি হলেই তা ফ্যাটি লিভার বলে বিবেচিত হয়। খাদ্যাভ্যাস বা জীবনযাত্রায় মাত্রাতিরিক্ত অনিয়মের ফলে লিভার বাড়তি ফ্যাট জমতে শুরু করে। ফ্যাটি লিভার মূলত দুই প্রকার। এক, অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এবং দুই, নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে যকৃৎ বা লিভারে যে ফ্যাট জমা হয়, তাকে ‘অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’ বলে। অন্যদিকে মূলত খাদ্যাভ্যাস বা জীবনযাত্রায় মাত্রাতিরিক্ত অনিয়মের ফলে লিভারে যে ফ্যাট জমা হয়, তাকে ‘নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’ বলা হয়।”
advertisement
আরও পড়ুন: সিগারেট ছাড়ার ৫ দিন থেকে ৫ বছরের মধ্যে শরীরে কি ঘটবে জানেন? চিকিৎসকের মত চমকে দেবে
তিনি আরও জানান, “এই নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বংশানুক্রমিক ভাবেও হতে পারে। তবে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ কোনও রকম ওষুধ না খেয়ে খুব সহজেই সারিয়ে তোলা সম্ভব। এজন্য খাদ্যাভ্যাস বা জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা অত্যন্ত জরুরি। তবে সময় মতো সতর্ক না হতে পারলে লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক অসুখের আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায় এই ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: কড়াইশুঁটি বেশি খাচ্ছেন না তো? রান্নার আগে এই কাজ করছেন তো? সর্বনাশ ঘটে যাবে
লিভার সিরোসিসে লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়। যার ফলে বেড়ে যায় মৃত্যুর ঝুঁকি। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস লেবু আর মধু মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। লেবুতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট লিভারে এনজাইম তৈরি করে যা লিভারের চর্বি গলাতে সাহায্য করে। এছাড়া বেশি করে শারীরিক পরিশ্রম করলেও উপকার পাওয়া যায়।” তবে যাঁরা ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Sarthak Pandit