বিকেল বেলায় খেজুর গাছে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য হাঁড়ি ঝুলিয়ে আসেন নলেন গুড় উৎপাদন কারীরা। সূর্যের আলো ফোটার আগে থেকেই ভোর ভোর খেজুর রস খেজুর গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। তারপর বড় একটি কড়াইয়ের মধ্যে খেজুর রসটিকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে ফুটানো হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খেজুর রসটি লাল রঙের হয়ে যায় । তারপর তা উনুন থেকে নামিয়ে বারে বারে পাক দেওয়া হয়। যত সময় যেতে থাকে সঙ্গে সঙ্গে নলেন গুড়ও গাঢ় হতে থাকে। তারপরেই তৈরি হয়ে যায় সুস্বাদু নলেন গুড়। অতিরিক্ত পাক দেওয়ার পরে তৈরি করা হয় নলেন গুড়ের পাটালি।
advertisement
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসে নাজেহাল? ধনেপাতা খান এই নিয়মে! বহু জটিল রোগের ওষুধ! জানুন চিকিৎসকের মত
বাঁকুড়া জেলার বাসিন্দা এসকে আলী দীর্ঘ চার বছর ধরে বেলপাহাড়ির বেলপাহাড়ি-বাঁশপাহাড়ি যাওয়ার রাস্তার পাশে কুলডিহা এলাকায় শীতের সময় নড়েল গুড় তৈরি করে আসছেন। তিনি বলেন,”আমাদের এখানে যে পরিমাণে গুড় তৈরি করা হয় তার বেশিরভাগই পর্যটকরা কিনে নিয়ে যায়। আর জঙ্গল এলাকার এই খেজুর গাছগুলির খেজুর রসের স্বাদও অতুলনীয়। আর আমরা সব সময় পর্যটকদেরকে নির্ভেজাল খেজুর গুড় বিক্রি করে থাকি। যাতে তারা বেড়াতে এসে বাড়ি যাবার পথে সঙ্গে করে নলেন গুড় নিয়ে যায়। এখনও শীত সেইভাবে আসেনি বলে নলেন গুড়ের উৎপাদন কম হচ্ছে। ভরা শীতের সময় নলেন গুড়ের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়ে যায়”।
ঠিকমতশীত না পড়ায় ২০০ টি খেজুর গাছ থেকে যে পরিমাণে রস সংগ্রহ করা হচ্ছে তাতে প্রায় ২৫ কিলো নলেন গুড় তৈরি হচ্ছে। ভরা শীতের সময় এই ২০০ টি খেজুর গাছ থেকে যে পরিমাণে রস সংগ্রহ করা হবে তাতে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ কেজি পর্যন্ত নলেন গুড় তৈরি করা হয়ে থাকে।
বুদ্ধদেব বেরা