মোতির মত চকচকে হয় এই লাড্ডু, এজন্যই এর মোতিচুর লাড্ডু নামকরণ করা হয়। ছোট ছোট মুক্তা দানার মতো বুন্দিয়া বানিয়ে সেগুলোকে একসঙ্গে হাতে চেপে তৈরি হয় মতিচুরের লাড্ডু। আর এইজন্যই এমন চমৎকার নামের উৎপত্তি।
আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলায় ঘুরতে আসবেন? গাড়ি নিয়ে এলে অবশ্যই জানুন এই নিয়ম
advertisement
মতিচুরের লাড্ডু ভারত উপমহাদেশের একটি প্রাচীন মিষ্টি। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপালে মতিচুরের লাড্ডু অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশেষ করে দিল্লির মতিচুরের লাড্ডুর সুখ্যাতি তো সারা বিশ্বজুড়ে। বিয়ে, ঈদ, পূজা, জন্মদিন বা যে কোনও আনন্দের অনুষ্ঠানেই মতিচুরের লাড্ডুর উপস্থিতি থাকেই থাকে। এর বয়স দু’হাজার বছরেরও বেশি। বেসন ও চিনির রস এই লাড্ডুর প্রধান উপকরণ।
এছাড়াও বাদাম, কিসমিস ইত্যাদি নানান উপকরণ ব্যবহৃত হয়। আসল স্বাদ পেতে ভাজার জন্য ব্যবহার করা হয় খাঁটি ঘি। মতিচুরের লাড্ডু কিনতে গেলে তো বেশ খরচ। আর আমাদের দেশে সব দোকানে এই লাড্ডু পাওয়াও যায়না। অনেকেই নিজে বানিয়ে খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর থানা এলাকার বহুড়ু প্রায় ঘরে ঘরে এই মতিচুরে লাড্ডুর ব্যবসা গড়ে উঠেছে।
রেসিপিটা জানা থাকলে যখন-তখন বাড়িতেও তৈরি করা যাবে প্রিয় এই লাড্ডু। ১/২ কেজি বেসন ১/৩ কাপ দুধ ১ টেবিল চামচ পেস্তা কুচি ১/২ কেজি চিনি ১ টেবিল চামচ কিসমিস ১ চিমটি বেকিং সোডা কয়েক ফোঁটা কমলা ফুড কালার/ জাফরান দানা ও ভাজার জন্য ঘি। বেসন ও বেকিং পাউডার একসঙ্গেমিশিয়ে নিন। ২ টেবিল চামচ ঘি ও প্রয়োজনমতো জল দিয়ে ঘন করে মিশ্রন তৈরি করুন।
প্যান কেকের ব্যাটার বা বেগুনী ভাজার বেসন গোলার মতন হবে ঘনত্বে। ঘি গরম করে ঝাঁঝরি চামচ দিয়ে বেসনের মিশ্রণ তেলে দিন।বুন্দিগুলো ভালো করে লাল করে ভেজে নিন। সবটুকু বেসনের বুন্দি ভাজা হয়ে গেলে একটি পাত্রে রেখে দিন। তারপর সেগুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে গোল গোল করে পাকিয়ে নিলেইতৈরি মতিচুরের লাড্ডু।
সুমন সাহা