ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন বাল্যবিবাহ রোধ করতে বিভিন্ন সংগঠন থেকে শুরু করে সকলে যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা পালন করলেও, প্রথম যে সুরক্ষা স্তর সেটি হল বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা,পিতা মাতা এবং এলাকার লোকজন।”জুভেনাইল জাসটিস অ্যাক্ট” অনুযায়ী ১৮ বছরের নীচে প্রত্যেকেই শিশু। বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে “কনসেন্ট” অর্থাৎ সম্মতির কোনও ভিত্তি নেই কারণ, ১৮ বছরের নীচে “কন্সেন্ট ইজ নো কনসেন্ট”। সামাজিক মাধ্যমের কারণে যোগাযোগের ক্ষেত্র বেড়ে গেছে। সেক্ষেত্রে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করতে গেলে খুব বুঝে শুনে ব্যবহার করতে হবে যদি বয়স ১৮ বছরের নীচে হয়। বেশিরভাগ বাল্যবিবাহের সূত্রপাত সামাজিক মাধ্যম থেকে, এবং সেটি না বুঝে। না বুঝে, পরিপক্ক জীবন শুরু হওয়ার আগেই যদি বাল্যবিবাহের জালে কেউ পা দেয় তাহলে জীবনধারায় ফিরে আসা একটু কঠিন হয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ।
advertisement
আরও পড়ুন: বাতের ব্যথা? রক্তের প্লেটলেট কমছে? অবসাদ? বহু জটিল রোগে দূর হবে এই গাছের ফুল ও পাতায়!
বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন সংগঠন এবং শিক্ষক শিক্ষিকা সঙ্গে প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতের সক্রিয় ভূমিকায় রোধ হয়েছে একাধিক বাল্যবিবাহ। এমনকি জঙ্গলমহলের দুটি মেয়ে পেয়েছেন স্বীকৃতিও। তবে ছেলেদের প্রয়োজন “পক্সো আইন” সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা। জানলে অবাক হবেন, একটি বাল্যবিবাহতে যুক্ত থাকা প্রত্যেকেই দোষী। হ্যাঁ কথাটা ঠিক শুনলেন, ” বিয়ের পুরোহিত থেকে রান্নার রাঁধুনি পর্যন্ত।”
পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোই লক্ষ্য। এমন একটি চিন্তাধারা নিয়ে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে চলছে দেশজুড়ে লড়াই। সঙ্গে উদাহরণ স্বরূপ রয়েছে বাল্যবিবাহ জনিত রোগ এবং মৃত্যুর ঘটনাও। তবুও, সর্বত্র সচেতনতা পৌঁছে না দিলে, সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব হবে না বাল্যবিবাহকে। যার কারণে অতিরিক্ত দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিচ্ছে বিভিন্ন সংগঠনগুলি।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী