তাই বোনফোঁটাকেও দেখুন সমাজে বদলে যাওয়া এক নতুন রীতি হিসেবেই। যার মধ্যে নিহিত রয়েছে ভাইবোনের অটুট বন্ধনের বার্তা। পেশায় কম্পিউটার শিক্ষক বছর ত্রিশের ইন্দ্রজিৎ বলেন, ‘‘ বছর পনেরো আগে আমার মনে হল আমার দিদিরা তো আমার মঙ্গল কামনা করে ফোঁটা দেয়, আমিও যদি তাঁদের মঙ্গল কামনায় এই বিশেষ দিনে তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি সেটা তো ভালই। আমি ২০১৫ সালে শুরু করি বোনফোঁটা। দেখলাম আমার মা বাবা এবং দিদিরা এতটাই আনন্দের সঙ্গে বিষয়টা গ্রহণ করেছে, তাতে আমার উৎসাহ বেড়েছে আরও শতগুণে।’’
advertisement
বর্তমানে ইন্দ্রজিতের বাবা নেই। মা, স্ত্রী নিয়ে সংসার ইন্দ্রজিতের। তাঁর স্ত্রীও চান ইন্দ্রজিৎ যেন বোনফোঁটা কখনও বন্ধ না করেন। ভাইফোঁটার দিন এক শুভ মুহূর্তে ইন্দ্রজিতের তিন দিদি প্রতিমা, অসীমা, নীলিমা প্রথমে ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেন, তারপর দিদিদের ফোঁটা দেন ভাই।
আরও পড়ুন : ভাইয়ের পাতে দেদার ট্রেন্ডিং কেক পেস্ট্রি! দেদার বিক্রি মিষ্টি দই, ছানার পায়েস, রসমালাইয়ের!
দিদিদের দীর্ঘায়ু কামনা করে যমের দুয়ারে কাঁটা দেন তিনি। ছেলেমেয়েদের এই নিবিড় সম্পর্কের সাক্ষী থাকেন মা দীপালী মিশ্র, তিনি বলেন ‘‘হাজার কষ্টের মধ্যে এইটুকু সুখের মুহূর্ত আছে বলেই কষ্টের মধ্যেও বেশ ভাল আছি।’’