পাকা আমে আছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। যা ত্বকের বাইরের অংশে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বকের এনজাইম গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পাকা আম। যা বাইরের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ত্বকে আমের প্যাক ব্যবহারের সবচেয়ে সুবিধা হল, যে কোনও বয়সে যে কেউ এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এর কোনও ক্ষতিকর দিকও নেই। তাই ফলের রাজার হাতে নির্দ্বিধায় তুলে দেওয়া যায় ত্বকের যত্নের দায়িত্ব।
advertisement
আমে থাকা ভিটামিন এ – কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে বলিরেখা হ্রাস করে। বিটা ক্যারোটিন – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বককে রক্ষা করে। ভিটামিন ই – ত্বককে হাইড্রেট রাখে। ভিটামিন কে – স্ট্রেচ মার্ক কমায়। ভিটামিন বি৬ – ত্বকে সিবাম কমায়। কপার – সূক্ষ রেখা এবং বলিরেখা দূর করে। পটাশিয়াম - ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে। ম্যাগনেসিয়াম - তৈলাক্ত ত্বক এবং ব্রণ কমায়।
আরও পড়ুন : কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ ফুটছে, হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে মনে রাখুন এই নিয়মগুলি
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য আমের ফেস প্যাক: ৩ চামচ মুলতানি মাটি, ১ চামচ দইয়ের সঙ্গে একটা পাকা আম ভালো করে ব্লেন্ড করতে হবে। তারপর মুখে লাগাতে হবে সেই পেস্ট। ২০ মিনিট রাখার পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে।
ট্যানড ত্বকের জন্য আমের ফেস প্যাক: এটা খুব সহজ। আমের কাত্থের সঙ্গে পাতিলেবুর রস ভালো ভাবে মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে জল দিয়ে। এটা তৎক্ষণাৎ ফর্সা এবং ট্যানমুক্ত ত্বক দেবে।
আরও পড়ুন : তীব্র তাপপ্রবাহেই চলছে অফলাইন স্কুল, কী করে সুস্থ রাখবেন আপনার সন্তানকে?
ব্রণ থাকলে: একটা পাকা আম থেকে ক্বাত্থ বের করে তাতে ১ টেবিল চামচ গমের আটা এবং ২ চা চামচ মধু মেশাতে হবে। তারপর সেটা মুখে লাগিয়ে বৃত্তাকার ভাবে ম্যসাজ করতে হবে। ১৫ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এক্সফোলিয়েট করার জন্য আমের ফেস প্যাক: ১ টেবিল চামচ আমের কাত্থ, ১ চা চামচ চিনি এবং ১ টেবিল চামচ দুধ ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। ১০ মিনিট এভাবে থাকার পর ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেললেই ম্যাজিক দেখা যাবে।
আরও পড়ুন : হাতে, পায়ে ঝিঁঝি ধরে কেন? প্রতিকারই বা কী? এই লক্ষণ কি উদ্বেজনক?
বয়স কমাবে: একটা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে আমের কাত্থ ভালো ভাবে মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। আধ ঘণ্টা শুকোক। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে তিন বার করতে পারলে সবচেয়ে ভালো ফল মিলবে।