কিন্তু আক্ষেপের বিষয় হল, রসনা বিলাসেই মটরশুঁটি (Green Peas) পর্ব শেষ করে বাঙালি। এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সে ওয়াকিবহাল নয়। ২ টুকরো মাছ বা তিন টুকরো মাংসের থেকে যে প্রোটিনের (Protein) জোগান পাওয়া যায়, সেই প্রোটিনই মেলে ১০ গ্রাম বা এক কাপ মটরশুঁটি থেকে। এমনই বলেন পুষ্টিবিদরা। কিন্তু মটরশুঁটি নিয়ে অনেক ভুল ধারণা আছে। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো।
advertisement
Lifestyle Tips: মটরশুঁটি (Green Peas) খেলে ব্রন হয়? ভুল ধারনা
বেশি মটরশুঁটি (Green Peas) খেলে না কি ব্রন হয়। বহু যুগ ধরে এমন ধারনা চলে আসছে। কিন্তু এটা পুরোপুরি ভুল ধারণা। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড আছে। ফলে মটরশুঁটি খেলে বরং ত্বক পরিষ্কার থাকবে। মটরশুঁটি থেকে প্রচুর প্রোটিন মেলে। তাই ওবেসিটির রোগীদের ফুল প্রোটিন ডায়েটে মটরশুঁটি অন্যতম উপাদান।
আরও পড়ুন- West Bengal Weather Update: লেপ-কম্বল লাগবে কাজে, সপ্তাহান্তে ফের হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা বাংলায়
পেশি তৈরি করতে পারে না
এটাও একটা ভুল ধারণা। অনেকে মনে করেন, খুব করেই মাংস খেলেই বোধহয় সুডোল পেশি হবে। তা কিন্তু নয়। বরং মটরশুঁটিতে যে প্রোটিন আছে, তা পেশি তৈরিতে সাহায্য করে। মটরশুঁটির অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের টক্সিন দূর করে ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায় মটরশুঁটি। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলকে জমতে না দিয়ে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এর ভূমিকা রয়েছে।
হাড়ও মজবুত করে
রোজের ডায়েটে কড়াইশুঁটিকে অন্তর্ভুক্ত করলে শরীরে ভিটামিন K-এর পরিমাণ এতটা বেড়ে যায় যে হাড়ের শক্তিও বাড়তে শুরু করে। ফলে জয়েন্ট পেন বা আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, ৪০-এর পর থেকে মহিলাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে যেতে শুরু করে। ফলে নানাবিধ হাড়ের রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। সেই কারণেই তো ৩০ পেরতে না পেরতেই প্রতিটি মহিলাকে দিনে কম করে এক কাপ কড়াইশুঁটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন - IND vs SA: সিরিজ হেরে আবেগঘন পোস্ট কেএল রাহুল, ভালবাসা উজাড় করলেন আথিয়া শেট্টি
স্বাদেও সেরা
সেরা স্বাদযুক্ত উদ্ভিদ প্রোটিনগুলির মধ্যে অন্যতম মটরশুঁটি। দিনে মাত্র ১ কাপ মটরশুঁটিই শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। সঙ্গে শরীরের নানা উপকারে তো লাগেই।
সম্পূর্ণ প্রোটিন
সম্পূর্ণ প্রোটিনে ৯টি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। অনেকে মনে করেন মটরশুঁটিতে বোধহয় সম্পূর্ণ প্রোটিন মেলে না। এটাও ভুল ধারণা। মটরশুঁটিতে অ্যামিনো অ্যাসিডের ৯টি ব্লকই থাকে। একইসঙ্গে মটরশুঁটিতে উপস্থিত নানাবিধ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না।