পোলো ফ্লোটেল এবার পুজোয় খাস যে আয়োজন করেছে, তার শুরুটা বেশ জমকালো, শহরের ফুড ভ্লগারদের দৌলতে তার কিছু কিছু রিল অনেকেরই চোখে পড়ে থাকবে ইনস্টাগ্রাম মারফত। সেখানে দেখা যাচ্ছে নদীর বুক থেকে মাছ তুলে রান্নার বিশেষ আয়োজন। সে কথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার সৌমেন হালদারও। তাঁর প্রতিশ্রুতি, এবার পুজোয় ফিরে আসতে চলেছে সেই সব চিরচেনা স্বাদ, যা একদা বাঙালির পাত অধিকার করে ছিল।
advertisement
কথায় কথায় তিনি ব্যাখ্যা করেছেন বিষয়টাকে। আমরা সবাই জানি, যে কোনও রান্নায় স্বাদের তারতম্য ঘটে অভিজ্ঞ রাঁধুনির হাতের গুণে আর মশলার কারসাজিতে। সেই অভিজ্ঞ শেফ তো রয়েছেই পোলো ফ্লোটেলের সংগ্রহে, যাঁদের হাতের স্বাদে এই শহর এখনও মুগ্ধ। আর মশলার কারিকুরিতেই এবার পুজোয় ফিরে আসছে অধুনালুপ্ত ব্যঞ্জনের বাহার। সৌমেন জানিয়েছেন যে পুজোর বিশেষ বাঙালি পদগুলো রাঁধা হবে একেবারে সাবেকি নিয়মে, কোনও যন্ত্র, বলা ভাল, মিক্সার গ্রাইন্ডারের সাহায্য তাঁরা নেবেন না, হাতে বাটা মশলার ছোঁয়ায় প্রতিটি ব্যঞ্জনকে করে তোলা হবে স্বাদে আর গন্ধে, রূপে আর রসে মনোহর।
আরও পড়ুন-যৌবনে ‘হার্ট অ্যাটাক’ এড়াতে চান? এই ৫ অভ্যাস ভুলেও বাদ দেবেন না রোজের তালিকা থেকে, তাহলেই সর্বনাশ!
তবে, শুধু যে মশলা আর রাঁধুনির হাতের গুণই যথেষ্ট নয়, সে কথাও বিলক্ষণ জানে শহরের এই ভাসমান রেস্তোরাঁ। সেই জন্যই রান্নার প্রধান উপকরণেও রাখা হচ্ছে সজীবতার ছোঁয়া। সৌমেন জানিয়েছেন যে অর্ডার দেওয়ার পরে তাঁরা মাঝিদের দিয়ে নদী থেকে মাছ ধরিয়ে তা রান্না করে বেড়ে দেবেন অতিথিদের পাতে। এই তরতাজা স্বাদ যে একমাত্র গঙ্গাবক্ষের এই রেস্তোরাঁই দিতে পারে, তা আর না বললেও চলে। একই সঙ্গে, স্থানীয় সবজি বিক্রেতাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে বাছাই করা তরতাজা উপাদান।
সঙ্গে রয়েছে পোলো ফ্লোটেলের আভিজাত্যে মোড়া অন্দরসাজ, যা নিঃসন্দেহে পুজোর মেজাজে আলাদা মৌতাত যোগ করবে। মন ভরিয়ে দেবে নদীর নিসর্গ। পুজোর অন্য দিন হোক বা বিশেষ করে দশমী- গঙ্গার বয়ে যাওয়া জলধারা আর পোলো ফ্লোটেলের স্বাদধারার যুগলবন্দিতে এবার খুব অন্য রকম এক পেটপুজোর সাক্ষী থাকবে এই শহর।