প্রচলিত রয়েছে, চট্টোপাধ্যায় পরিবারের এক সদস্য প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে প্রতিমা তৈরি করে এই পুজোর সূচনা করেন। তবে থেকে বিশেষ নিয়ম মেনে কালীর আরাধনা হয়ে আসছে। আজও দুর্গাপুজোর বিজয়া দশমীর দিন দেবীর কাঠামো বেদি থেকে নামিয়ে ত্রয়োদশীতে কাঠামোয় মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়। আজ থেকে কয়েক বছর আগে চালাঘরে পুজো হলেও পরবর্তীকালে স্থায়ী মন্দির তৈরি করে সেখানেই কালীর আরাধনা হচ্ছে।
advertisement
পুজোর দিন ঘট আনার সময় দণ্ডী দেওয়ার রীতি রয়েছে পরিবারে। আজও গ্রামবাসীরা মনে করেন, এই দণ্ডীর ফলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। প্রতিবছর এই পুজোয় পায়ের গ্রাম ও আশপাশের এলাকার মানুষের ঢল নামে। এই পুজোয় আরতি নেই। বাজে না ঘন্টা-কাঁসর। তার পরিবর্তে ঢাক-ঢোল বাজানোর প্রচলন রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, একবার পুজোয় দেবীর আরতি চলাকালীন কোনও ভাবে প্রতিমায় আগুন ধরে গিয়েছিল। সেই সময় দেবী পূজিতা হতেন হরিশ্বরী কালী নামে। ওই ঘটনার পর পুনরায় দেবীর অভিষেক হয়, নামকরণ করা হয় জটামুড়ি কালী। তখন থেকেই কালীর প্রতিমায় জটা এবং শিবের চুলের পরিবর্তে মাটির জটা থাকে। প্রাচীন রীতি মেনে কাহার সম্প্রদায়ের মানুষদের দিয়েই প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। দূর দূরান্তের ভক্তরাও মায়ের টানে ছুটে আসেন বীরভূমে