ঐতিহ্যের নৈহাটিতে বড় মার পুজোর পাশাপাশি এবার তাই দর্শনার্থীদের বিশেষ নজর থাকবে এই পুজোর উপর। নিউস্টার ক্লাবের কালীপুজোয় এবারের থিম ‘চলতে চলতে ৬০-এ, থাইল্যান্ড পায়ে হেঁটে’। থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় ড্রাগন বোট ফেস্টিভ্যাল-এর আদলে সাজানো হচ্ছে গোটা মণ্ডপ ও প্রতিমা। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই উৎসবের ভাবনা থেকেই মণ্ডপের ডিজাইন তৈরি করছেন বনগাঁর শিল্পী রাজু। বিশালাকার ড্রাগনের মতো সাজানো হচ্ছে মণ্ডপ। তার সঙ্গে চন্দননগরের ঝলমলে আলোকসজ্জা যোগ করবে বিশেষ মাত্রা। মণ্ডপের ভিতর ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে নিখুঁত শিল্পসৌন্দর্য—দুধসাদা মার্বেলের মতো পিলার, সিলিং জুড়ে সূক্ষ্ম কারুকার্য, তার মধ্যেই বিরাজ করবেন সোনায় মোড়া শ্যামা মা। আর এখানেই সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। মা-কে সাজানো হচ্ছে ষাট কেজি সোনার গয়নায় যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা বলছেন উদ্যোক্তারা।
advertisement
এত বিপুল পরিমাণ সোনার ব্যবহার ঘিরে দর্শনার্থীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই উৎসাহ তুঙ্গে। তাই নিরাপত্তার দিকেও রাখা হচ্ছে কড়া নজর। পুলিশের পাশাপাশি থাকবে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মীরা। পুরো মণ্ডপচত্বর জুড়ে বসানো হয়েছে ৫২টি সিসিটিভি ক্যামেরা। নিরাপত্তার স্বার্থে দর্শনার্থীরা মাকে দেখতে পাবেন ৮ ফুট দূর থেকে। নিউস্টার ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা তথা নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে জানিয়েছেন, ” ষাটতম বছরে মাকে একটি নামী গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থা ৬০ কেজি সোনার গয়না দিচ্ছে। পুলিশ কমিশনারেটের তরফে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরাও বেসরকারি নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখছি। শনিবার মণ্ডপ উদ্বোধন হবে, তার পর প্যান্ডেল খুলে দেওয়া হবে দর্শনার্থীদের জন্য। এখন তাই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।”
Rudra Narayan Roy