নয়াদিল্লির মূলচাঁদ হাসপাতালের সিনিয়র পালমোনোলজিস্ট চিকিৎসক ভগবান মন্ত্রীর মতে, দূষিত বাতাসে বিষাক্ত উপাদান মিশে যায়। এসব বিষাক্ত উপাদান শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় মানুষের শরীরে পৌঁছায়। এতে ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়। দীর্ঘ সময় ধরে দূষিত বাতাস শ্বাস নেওয়ার ফলে দীর্ঘস্থায়ী অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি), হাঁপানি এবং ফুসফুসের ক্যানসার-সহ অনেক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। দূষিত বাতাসের কারণে শ্বাসতন্ত্র ও ফুসফুসের পাশাপাশি হার্টও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দূষণের কারণে হাঁপানি এবং অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: মোবাইলের রেডিয়েশন থেকে কি ক্যানসার হতে পারে? জানুন বিশেষজ্ঞের মত
চিকিৎসক ভগবান মন্ত্রীর মতে, বায়ু দূষণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং অ্যালার্জেন-সহ অনেক কিছু হাঁপানির কারণ হতে পারে। দীপাবলির বায়ু দূষণে আরও বাড়তে পারে তাই খুবটা বাইরে বেরনো তাঁদের জন্য ঠিক না এই সময় এবং বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক পরা উচিত। যেখানে দূষণ বেশি সেখানে যাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত এবং সময়মতো ওষুধ খাওয়া উচিত। সম্ভব হলে ঘরের ভেতরে এয়ার পিউরিফায়ার বসাতে হবে। যদি সমস্যা খুব গুরুতর হয় বা অ্যাজমা অ্যাটাক হয় তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসের যম এই ফল! নিয়ন্ত্রণে রাখে উচ্চ রক্তচাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও দেয় মুক্তি
অনেক সময় নানা রকম সতর্কতার পরও রোগীর শ্বাস কষ্ট হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ঘাবড়ে যান এবং কিছুই বুঝতে পারে না। অনেকেই অ্যাজমা অ্যাটাক এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পার্থক্য বুঝতে পারেন না। তাই প্রথমেই বুঝতে হবে এটা কি ধরনের আক্রমণ। হাঁপানির আক্রমণে শ্বাসকষ্ট অনেক বেশি হয়। যারা আগে থেকেই হাঁপানির সমস্যায় ভুগছেন তারা উপসর্গের দেখে বুঝতে পারবেন।
অ্যাজমা অ্যাটাক হলে প্রথমে ইনহেলার বা নেবুলাইজারের মাধ্যমে ওষুধ দিতে হবে। যদি এই সময়ের মধ্যে লক্ষণগুলি গুরুতর হয়, তাহলে ইনহেলারের উচ্চ মাত্রা গ্রহণ করা যেতে পারে। অ্যাজমা অ্যাটাক হলে শ্বাসযন্ত্রের টিউবগুলো সরু হয়ে যায় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এ জন্য চিকিৎসকরা কিছু জরুরি ওষুধ দেন, তাই প্রাথমিক চিকিৎসার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন পালমোনোলজিস্টের কাছে যাওয়া উচিত।