গবেষণা কী বলছে: গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। কিন্তু যাঁরা বেশি ঘুমোন তাঁদের উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেশি। বিশেষ করে যাঁরা দিনের বেলায় ন্যাপ নেন, তাঁদের জন্য। ন্যাপ হল সংক্ষিপ্ত ঘুম। দিনের বেলায় কাজের ফাঁকে অনেকেরই ন্যাপ নেওয়ার অভ্যাস আছে। এই ঘুম খুব হালকা এবং সহজেই ভেঙে যায়। ঘুমোনোর হাজার রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকলেও ন্যাপ নিলে কিন্তু সমস্যা বাড়তে পারে।
advertisement
ন্যাপিং নিয়ে গবেষণা কী বলছে: রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে সারাদিন গা, হাত ম্যাজম্যাজ করে। চোখ যেন ঢুলে আসে ঘুমে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই ন্যাপ নেন। আসলে রাতে ভালো ঘুম না হলে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যহত হয়। ন্যাপ নিলে সাময়িকভাবে শরীর ঝরঝরে লাগে কিন্তু স্বাস্থ্যে এর কোনও প্রভাব পড়ে না।
আরও পড়ুন: আজ দুপুরেই ব্যাপক বদলাবে আবহাওয়া, জেলায় জেলায় কাঁপিয়ে বৃষ্টির সতর্কতা
আরও পড়ুন: 'আপনার ভোট চাই না', মুখের উপর স্পষ্ট কথা বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর, গুপ্তিপাড়া তোলপাড়
গবেষণার বিস্তারিত বিবরণ: ইউকে-র বায়োব্যাঙ্কের ৩,৫৮,৪৫১ জনের উপর একটি সমীক্ষা চালানো হয়। গবেষণার শুরুতে এঁদের কারও শরীরেই উচ্চ রক্তচাপ কিংবা স্ট্রোকের কোনও লক্ষণ ছিল না। চার বছরের গবেষণায়, অংশগ্রহণকারীদের নিয়মিতভাবে রক্ত, প্রস্রাব, লালার নমুনা এবং ঘুমের সময়কাল পরীক্ষা করা হয়। সেখানে দেখা যায়, যাঁরা ঘন ঘন ন্যাপ নেন তাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক এবং ইস্কেমিক স্ট্রোকের ঝুঁকি মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। এক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি ১২%, স্ট্রোকের ঝুঁকি ২৪% এবং রক্ত জমাট বাঁধার কারণে ইসকেমিক স্ট্রোকের ঝুঁকি ২০%!
ন্যাপিংয়ের ঝুঁকি: শুধু এই গবেষণাই নয়, অন্যান্য একাধিক গবেষণাতেও ন্যাপিংয়ের ঝুঁকি দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, যাঁরা দিনেরবেলা ন্যাপ নেন তাঁদের ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এমনকী অবসাদ, বিষণ্ণতাও দেখা যায়। ইউরোপীয় সোসাইটি অফ কার্ডিওলজি কংগ্রেসের একটি গবেষণায় আবার দেখা গিয়েছে, যাঁরা ন্যাপ নেন তাঁদের কার্ডিওভাসকুলার রোগের সম্ভাবনা ৩৪ শতাংশ বেশি।
তাহলে কি ন্যাপ নেওয়া ক্ষতিকর: না, তেমনটা নয়। তবে সঠিক পদ্ধতিতে ন্যাপ নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনের বেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুমের বদলে কয়েক মিনিটের স্বাস্থ্যকর ন্যাপ নেওয়া যেতে পারে। এটা ক্লান্তি দূর করবে এবং মস্তিষ্ককেও কর্মক্ষম রাখবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনেরবেলা ৩০ থেকে ৬০ মিনিটের বেশি ঘুমনো উচিত নয়।