Manoranjan Byapari: 'আপনার ভোট চাই না', মুখের উপর স্পষ্ট কথা বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর, গুপ্তিপাড়া তোলপাড় 

Last Updated:

Manoranjan Byapari: কিছু নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তিনি ওই এলাকার পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, দেখতে গিয়ে তাঁকে যে ঘটনার সামনে পড়তে হয়েছে, তাতেই তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন তিনি।

মনোরঞ্জন ব্যাপারী, ফাইল ছবি
মনোরঞ্জন ব্যাপারী, ফাইল ছবি
#বলাগড়: বর্ধমান হোক বা হাওড়া। সাম্প্রতিক সময়ে মদ্যপান করে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বেআইনি ভাবে চলা এই সব মদের আসর নিয়ে অভিযোগ তুলছেন বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দারা৷ এ বার নিজের বিধানসভা এলাকা বলাগড়ের গুপ্তিপাড়া রথের সড়ক এলাকার একটি ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিধায়ক। মদের ব্যবসার নাম করে সাধারণ মানুষের অবস্থা করছেন জনৈক, তা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী উল্লেখ করেছেন, " লোকসভার সময়ে ছত্রিশ হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকা অঞ্চলে, নয় হাজারের কিছু বেশি ভোটে জিতেছি। পরের বার এক দু-হাজার যদি কমে যায় তো যাক, তবু ওঁর  বা ওঁর মতো কারও ভোট আমি চাই না। উপরের কথা গুলো বলেছি গুপ্তিপাড়া  রথসড়ক বাজারে। একটি পরিবার ওই রকম জন বহুল এলাকায় গত কুড়ি বাইশ বছর ধরে মদের ব‍্যবসা করে।আগে ঝুপড়ি ঘর ছিল, এখন বিশাল পাকা দালান। তার নাকি সব বন্দোবস্ত  করে রাখা আছে। শুনতে পেলাম ওই জায়গায় নাকি কবে দুটো খুন পর্যন্ত হয়ে গেছে। তবু তার ব‍্যবসা বন্ধ হয়নি।"
কেন এই পদক্ষেপ করলেন বিধায়ক। তিনি জানিয়েছেন, কিছু নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তিনি ওই এলাকার পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, দেখতে গিয়ে তাঁকে যে ঘটনার সামনে পড়তে হয়েছে, তাতেই তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন তিনি। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, 'গতকাল কিছু মানুষ আমাকে এসে জানান, মাতাল লোকগুলো মদ খেয়ে রোজ ঝগড়া, মারামারি, অকথ‍্য গালি-গালাজ করে। মেয়েদের টোন কাটে। অনেককে অনেক  বলার পরেও কিছুতে ঠেক বন্ধ হচ্ছে না। আপনি কিছু একটু করুন। তাই গতকাল আমাকে যেতে হয়েছিল ওই ঠেকে। তখন ঠেক সঞ্চালক এক মহিলা, বাপরে! কী তার গলার তেজ! চেঁচিয়ে পুরো বাজারের লোক জমা করে ফেলেছিল। যেন বাড়িতে ডাকাত পড়েছে! বলে সে, মনে আছে ভোটের সময় আমার দরজায় হাত জোর করে দাড়িয়ে ছিলেন! আবার আসবেন না ভোট চাইতে? তখন মজা বোঝাবো! বলি তাকে, "মহোদয়া আপনি আমাকে ভোট দিয়েছিলেন কী দেননি সেটা কে জানে! যদি দিয়ে থাকেন আর দেবেন না"!
advertisement
advertisement
এই পরিস্থিতিতে কী উত্তর দিয়েছিলেন বিধায়ক, সেটিও তিনি বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন। লিখেছেন, 'বলি তাকে,  আপনি লোককে বিষ খাওবেন আর আমি তা বসে বসে দেখবো, সেটা হবে না। সংগ্রামপুর, বর্ধমান, হাওড়ার মতো এখানেও মানুষ মরুক সেটা হতে দেওয়া যাবে না।  অঞ্চলের সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে আমাকে যতো কঠোর হতে হয় আমি হব। কাল থেকে যেন আর এখানে মদ বিক্রি না করা হয়। বিশাল বাড়ির মালকিন , কয়েকটি দোকান ভাড়া দেওয়া আছে। তবু বলে সে, আমাকে একটি কাজ দিন তাহলে আর মদ বেচবো না। বলি তাকে, চলো এখনি তোমাকে কাজ দেবো। আমার জিরাটের অফিসটা ঝাট দেবে মুছবে ছয় হাজার দেবো প্রতি মাসে। এবার সে আর রাজি নয়। মদের দোকানে যেখানে দিনের দু তিন হাজার সহজ কামাই, সে খাটতে যাবে কেন! বাড়ির সামনে রথ সড়ক বাজার, চাইলে সে সেখানেই একটা সবজি দোকান করতে পারে। হাজার লোক সেভাবেই রোজগার করছে আর ভালো ভাবে আছে।তিনি সেটা করতে পারবেন না। সন্মানে বাধে। অথচ মদ বিক্রি করবেন। বলেছেন তিনি, কত জন এল গেল, কেউ পারেনি বন্ধ করতে ! মদের দোকান তার চলছে চলবে। দেখা যাক কী ভাবে চলে! কারা তাকে সাহস আর সমর্থন দেয়।"
advertisement
Abir Ghosal
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Manoranjan Byapari: 'আপনার ভোট চাই না', মুখের উপর স্পষ্ট কথা বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর, গুপ্তিপাড়া তোলপাড় 
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement