গ্রামের মানুষের কথায় জাগ্রত বাবা পঞ্চনন্দ। এই বাবা পঞ্চানন্দের মাহাত্ম্য ছড়িয়ে রয়েছে হাওড়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। সারা বছরের বিশেষ দিন এবং পরিবারের যেকোনও শুভ কাজে গ্রামের মানুষ বাবা পঞ্চানন্দের পুজো উৎসর্গ করে থাকেন। এই রীতি দীর্ঘদিনের, কবে থেকে শুরু, নির্দিষ্ট কোন কাল গ্রামের মানুষের জানা নেই। কেউ বলে ৫০০-৭০০ বছর ধরে বাবা পঞ্চানন্দের আরাধনা হয় গ্রামে। আবার অনেকেই মনে করেন তারও আগে থেকে পুজোর চল। গ্রামে পঞ্চানন্দের পুজো সম্পর্কে রয়েছে দ্বিমত। তবে পঞ্চানন্দের আরাধনায় কোন দ্বিমত নেই। সকলে একত্রিত ভক্তি ভরে বাবা পঞ্চানন্দের আরাধনা করেন। গ্রামের এই স্থান পঞ্চানন্দ তলা বলে পরিচিত। শুধু এই দুই গ্রাম নয়, আশেপাশের দেউলপুর জালালসী-সহ আরও বেশ কিছু গ্রামের মানুষ শামিল হন পঞ্চানন্দের আরাধনায়। সারা বছর দিনে একবার পুজোর চল। এছাড়াও চৈত্রের গাজন উৎসবে পঞ্চানন্দের পুজো হয় জোরদার। পঞ্চাননদের আশীর্বাদ পেতে অনেকেই সন্ন্যাস করেন এই সময়।
advertisement
গঙ্গাধরপুরও গোন্ডলপাড়া গ্রামের সীমানার কাছেই প্রকাণ্ড এক অশ্বত্থ গাছের নীচে বাবা পঞ্চানন্দের শিলা মূর্তি এতদিন বিরাজমান ছিল। পাশেই বিশাল বড় বেজপুকুর, গভীর রাতে বাবা পঞ্চানন্দ স্নান করে । এমন নানা অলৌকিক ঘটনার কথা স্থানীয় মানুষ জানান।
আরও পড়ুন : প্রাচীন টেরাকোটা কারুকার্যের মুখ ঢেকে যায় ঘুঁটেতে, বাঁকুড়ায় অবহেলার আড়ালে মল্লরাজাদের ইতিহাস
দীর্ঘ অপেক্ষার পর গ্রামে বিশাল আকৃতির বাবা পঞ্চানন্দের মূর্তি নবনির্মিত মন্দিরে প্রবেশ করল। গ্রামে পঞ্চানন্দের মূর্তি আসাকে কেন্দ্র করে উৎসব। গঙ্গাধরপুর ও গোণ্ডলপাড়া গ্রামে উৎসব দেখা গেল এদিন। যদিও প্রাণ প্রতিষ্ঠার কাজ বাকি রয়েছে। দুই গ্রামের অভিভাবক বাবা পঞ্চানন্দ গ্রামে প্রবেশ করতে চলেছে। গ্রামে ৮ থেকে ৮০ বছরের মানুষের কাছের উৎসব। নগর কীর্তন ঢাক ঢোল বাদ্যযন্ত্রে কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বিশাল আকৃতির পঞ্চানন্দ মূর্তি এবং সেই সঙ্গে রাধাকৃষ্ণ ও শিবমূর্তি মন্দিরে আগমন। পঞ্চানন্দ এবং রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তি গ্রামের মানুষ আহ্বান জানালেন শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে।