বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শীতকালে ত্বক এবং চুল উভয়ের ক্ষেত্রেই পরিচ্ছ্বন্নতা খুবই জরুরি। ত্বকে নিয়মিত ময়শ্চারাইজারের ব্যবহার প্রয়োজন। না হলে ত্বক আরও শুষ্ক হতে থাকলে ফেটে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সকলের ত্বকের প্রকৃতি সমান নয়। তাই এই সময়ে ত্বকের জন্য কোনও ময়শ্চারাইজার বেছে নেবেন, তা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই নেওয়া দরকার। সাধারণত আমরা মনে করি, শীতকালে সানস্ক্রিন প্রয়োজন হয় না। এটি ভুল ধারণা। একথা ঠিক যে, সূর্যরশ্মি সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের জন্য প্রয়োজন। এতে যে ভিটামিন পাওয়া যায় তা প্রয়োজনীয়। কিন্তু বেশি সূর্যরশ্মি ত্বকে অপূরণীয় ক্ষতি ও অকালবার্ধক্যের কারণ। সানস্ক্রিন এই রশ্মি দাহ্যতা কমিয়ে দেয়। শীতকালেও নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি।
advertisement
আরও পড়ুন- বিয়ের পরই চোখে জল ‘নববধূ’ সন্দীপ্তার! কারণটা কী? শুনলে আঁতকে উঠবেন
শীতের আরেক সমস্যা হচ্ছে ঠোঁট ফাটা ও কালো হয়ে যাওয়া। এর সমাধানও গ্লিসারিন। বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না। আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে গ্লিসারিন অথবা লিপ জেল লাগাবেন। ঠোঁটে বা হাত পায়ের চামড়া ফেটে গেলে ভিটামিন-ই যুক্ত ভেসলিন লাগাবেন। চুলের ক্ষেত্রে নারকেলের গুণাগুণ সম্পন্ন তেল ব্যবহার করতে পারেন। বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকার কারণে শীতে চুল হয়ে উঠে রুক্ষ এবং খুশকির উপদ্রব হয়। খুশকির জন্য ভালে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন।
চুল সাধারণত দু’রকমের হয় তৈলাক্ত ও শুষ্ক। তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রে স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা জরুরি। একদিন অন্তর অন্তর চুলের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোওয়া ভাল। আর শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রে হট অয়েল থেরাপি ভাল কাজ করে। সামান্য গরম অলিভ অয়েল চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে তারপর গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখতে হবে। এরপর চুলের উপযোগী শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলবেন। এছাড়াও ভিটামিন-ই চুলের জন্য অনেক ভাল। ২ দিন পর পর যে কোনও তেলের সঙ্গে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভেঙ্গে এর তেলটি মিশিয়ে মাথায় ভাল ভাবে লাগিয়ে ২-৩ ঘণ্টা রাখুন। সারারাত রাখলে ভাল হয়। সকালে ধুয়ে ফেলুন। তবে বেশি গরম জল দিয়ে কখনওই চুল ধোয়া উচিত নয়।
অনির্বাণ রায়