হাত ও পা যদি বেশি ঠান্ডা হয়ে থাকে, তাহলে শীতে সব সময় ফুলহাতা জামা ও ফুলপ্যান্ট পরুন৷ বাইরে বার হলে প্রয়োজনীয় গরম জামা এবং মোজা পরতে হবে৷ উলের পোশাকের প্রভাবে শরীরের তাপমাত্রা ধরা থাকে৷ হাত ও পায়ের পাতাও গরম থাকে৷
আরও পড়ুন : অনিয়মিত ঋতুস্রাব এবং প্রতি মাসের যন্ত্রণা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত খান এই খাবারগুলি
advertisement
শীতকাল বলে শরীরচর্চায় বিরতি দেবেন না৷ বরং, শীতেই শরীরচর্চা বেশিক্ষণ করা যায়৷ উপযুক্ত গরম জামা পড়ে সকালে হাঁটতেও যান৷ নিয়মিত হাঁটার ফলে দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে৷
যদি গরম পোশাকে কাজ না হয়, ব্যবহার করুন হিটিং প্যাড৷ সবথেকে ভাল হয় যদি বৈদ্যুতিন হিটিং প্যাড কাজে লাগান৷ বাজারে অনেক ধরনের হিটিং প্যাড পাওয়া যায়৷ ফিরে যেতে পারেন হাতে ও পায়ে গরম তেল মালিশ করার পুরনো রীতিতেও৷ আপনার ত্বকে সহ্য হয় এরকম তেল ঈষদুষ্ণ করে মালিশ করুন হাতের ও পায়ের পাতায়৷ আঙুলের ফাঁকেও ভাল করে তেলের প্রলেপ দিতে ভুলবেন না৷ এর ফলে অক্সিজেনের যোগান ঠিক থাকে৷ হাত ও পায়ের ত্বকের সংক্রমণ এবং আড়ষ্টতা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়৷
আরও পড়ুন : মধুমেহ-সহ আর কোন অসুখে সাদা চালের বদলে ব্রাউন রাইস খাওয়া উপকারী?
শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখার ক্ষেত্রে সৈন্ধব লবণও খুব কার্যকর৷ গরম জলে সৈন্ধব লবণ ফেলে তাতে দু’ পা ডুবিয়ে রাখুন৷ ভাল করে মালিশ করে নিয়ে শুকনো তোয়ালে দিয়ে পা মুছে ক্রিম মেখে নিন৷ এতে পা ভালও থাকবে৷ আবার ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার সমস্যাও থআকবে না৷ রাতে ঘুমনোর আগে এভাবে পায়ের যত্ন নেওয়ার পর সুতির মোজা পরে ঘুমোতে যান৷ এতে পা ফাটবেও না ৷ আবার শীতল অনুভূতিও থাকবে না৷ তবে নাইলনের মোজা নৈব নৈব চ৷
আরও পড়ুন : নামমাত্র খরচে অন্দরসজ্জা ও দূষণমুক্তি, ঘরে রাখুন অ্যারালিয়া
শীতকালে অনেকেরই জলপানের পরিমাণ কমে যায়৷ এ সময়ে জলপান কমাবেন না৷ জলপানের ফলে দেহে ব্লাড সার্কুলেশন ঠিক থাকে৷ ধরা থাকে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রাও৷ ফলে ঠান্ডার অনুভূতি কম হয়৷