তবে বাড়ির সদর দরজা সাজানো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই পথেই অতিথি সমাগম হবে। বাইরে থেকে লোকজনের নজরও সবার প্রথমে এখানেই পড়বে। তাই প্রবেশদ্বারের সজ্জায় চাই বাড়তি যত্ন। কীভাবে? বাড়ির সদর দরজা সাজানোর হরেক উপায় নিয়ে আলোচনা করা হল এখানে।
উজ্জ্বল রং: দীপাবলির রাত মানে উজ্জ্বল রঙ। সে আতসবাজি হোক কিংবা প্রদীপের আলো। রঙে যেন খামতি না থাকে। তাই প্রবেশদ্বার সাজাতে গোলাপি, হলুদ বা কমলা রঙের ফুল, মোমবাতি ব্যবহার করা উচিত। এগুলো দেখতে খুব সুন্দর তো লাগেই, চোখ টানে খুব তাড়াতাড়ি।
advertisement
হুলা হুপ ঝাড়: এটা দেখতে খুব সুন্দর লাগে। বানানোও সহজ। দুতিনটে মিনিয়েচার লাইটের রিং একটা গোল রিংয়ের মধ্যে দিয়ে ঝুলিয়ে দিতে হবে। আর রিংটা ঝুলবে সিলিং থেকে।
ম্যাসন জার লাইটস: বড় কাচের বয়াম কিংবা রঙিন বয়ামে মিনিয়েচার লাইট দিয়ে গেটের দুপাশে রেখে দিতে হবে। ব্যস। তবে হ্যাঁ, মিনিয়েচারগুলো যেন ব্যাটারিচালিত হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
উরলি: প্রবেশদ্বারের সামনে বড় জল ভরা পাত্রে ভাসবে গাঁদা কিংবা গোলাপ ফুলের পাপড়ি। সঙ্গে জ্বলবে কয়েকটা প্রদীপ। দেখতে অসাধারণ লাগবে। এমন সজ্জা দেখে প্রতিবেশীদের মধ্যে সেলফি তোলার ভিড় লেগে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: টাইপ টু ডায়েবেটিস-ক্লাস থ্রি ওবেসিটির কষ্ট বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিচারক কিছুই শুনতে পেলেন না!
আলপনা: ঘর সাজাতে এ জিনিসের তুলনা হয় না। তবে চাল বাটা দিয়ে নয়। দীপাবলিতে রঙিন আলপনাই সবচেয়ে ভাল মানায়। প্রবেশপথে কতটুকু জায়গা আছে সেটা দেখে নিয়ে ফুল আর রঙ দিয়ে এঁকে ফেলতে হবে আলপনা। স্বস্তিক, ওম বা লক্ষ্মীর পা দিয়ে নকশাও করা যায়।
গাঁদা ফুলের তোড়ন: বাড়ির গেট ফুল দিয়ে তো সাজাতেই হয়। এর কোনও বিকল্প নেই। সদর দরজায় গাঁদা ফুলের লম্বা ছড়ি দড়ি দিয়ে বেঁধে পরপর ঝুলিয়ে দিতে হবে।
লম্বা প্রদীপ: একেবারে খাঁটি ভারতীয় স্টাইল। পিতল বা কাঁসার লম্বা স্ট্যান্ডের উপর প্রদীপ। সদর দরজার মুখে গাঁদা বা গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে মাঝখানে রাখতে হবে।