শহরের কোলাহল ছেড়ে প্রকৃতির কোলে কিছুটা সময় কাটানোর লোভ সামলাতে পারেননি বহু মানুষ, ফলে পাহাড়জুড়ে তৈরি হয় উৎসবের আবহ। ২৫ ডিসেম্বর থেকে সকাল হতেই বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা ও ভিন রাজ্য থেকে পর্যটকেরা শুশুনিয়া পাহাড়ে আসতে শুরু করেন। শীতের মনোরম আবহাওয়া, পাহাড়ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রাচীন শিলালিপি এবং পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা ঝর্ণাই পর্যটকদের মূল আকর্ষণ বলে মত স্থানীয়দের। পর্যটকদের ভিড়ে পাহাড় চত্বর, ঝর্ণা এলাকা ও আশপাশের রাস্তায় কার্যত পা রাখার জায়গা ছিল না।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতায় মরশুমের শীতলতম দিন, পারদ নামল ১২-তে! ঠান্ডায় জবুথবু বাংলার জেলার পর জেলা
পর্যটকদের উপস্থিতিতে ২৫ ডিসেম্বর থেকে খুশির হাওয়া স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যেও। পাহাড় সংলগ্ন খাবারের দোকান, চায়ের স্টল, হোটেল ও অস্থায়ী ব্যবসায়িক স্টলগুলিতে সারাদিন ভালই বেচাকেনা হয়েছে বলে জানা গেছে। অনেক পর্যটক পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে পিকনিক করতে আসায় দুপুরের পর ভিড় আরও বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে ২৫ ডিসেম্বর থেকে প্রশাসনের তরফে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাহাড় এলাকা জুড়ে পর্যাপ্ত পুলিশি মোতায়েন করা হয়।
পাশাপাশি যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, পার্কিং ব্যবস্থাপনা ও ঝর্ণা এলাকায় নজরদারি বাড়ান হয়, যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।সব মিলিয়ে ২৫ ডিসেম্বর থেকে শুশুনিয়া পাহাড়ে পর্যটকদের এই ঢল আবারও প্রমাণ করল, শীতের মরশুমে বাঁকুড়ার প্রকৃতি ও পাহাড়ি সৌন্দর্য মানুষের কাছে কতটা আকর্ষণীয় এবং ছুটির দিনে এটি কেন পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের গন্তব্য হয়ে ওঠে।





