TRENDING:

History Of Langcha: শক্তিগড়ের বিখ্যাত 'ল্যাংচা'র নাম 'ল্যাংচা' কেন? আসল উত্তর জানলে চোখ কপালে উঠবে

Last Updated:

History Of Langcha: শক্তিগড়ের বিখ্যাত 'ল্যাংচা' দেখলেই জিভে জল? বলুন তো, কেন এই মিষ্টির নাম ল্যাংচা? জানলে চোখ কপালে উঠবে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শক্তিগড়: শক্তিগড়ের উপর দিয়ে গেলে ল্যাংচা খান না বা ল্যাংচা কেনেন না, এরকম মানুষ দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে। এই শক্তিগড়েই প্রথম তৈরি হয়েছিল ল্যাংচা, আজ ল্যাংচার ‘আঁতুড়ঘর’ শক্তিগড়। আগে জিটি রোডের উপর ছিল ল্যাংচার দোকানগুলো। কিন্তু জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ হওয়ার ফলে বর্তমানে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের দুই ধারে ল্যাংচার দোকানগুলি উঠে এসেছে। এই মিষ্টি খেয়ে একসময় লর্ড কার্জনও সুখ্যাতি করেছিলেন।
advertisement

এই মিষ্টির নাম ল্যাংচা কেন? এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত। অনেকেই বলেন, ল্যাংচার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বর্ধমানের পাশাপাশি কৃষ্ণনগরের নামও। কথিত আছে, কৃষ্ণনগরের রাজকন্যার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বর্ধমানের রাজপুত্রের। বিয়ের কিছুদিন পর রাজকুমারী অন্তঃসত্ত্বা হলে কৃষ্ণনগরের রাজা মেয়েকে নিজের বাড়ি নিয়ে যান। কিন্তু  ক’দিন পর থেকেই খাবারে রুচি হারিয়ে ফেলে রাজকন্যা। রাজবাড়ির রাজভোগও তার বিস্বাদ মনে হয়।

advertisement

মেয়ের এই অবস্থায় মহা দুশ্চিন্তায় পড়লেন রাজা। ডাক পড়ল রাজ্যের তাবড় তাবড় হাকিম- কবিরাজের। একদিন রাজকন্যা নিজেই তাঁর বাবাকে ডেকে বললেন, তিনি বর্ধমানে শ্বশুরবাড়িতে থাকতে এক ময়রার হাতে তৈরি রসে ডোবানি,কালো রঙের ভাজা মিষ্টি খেয়েছিলেন। সেই মিষ্টি খেলেই নাকি তাঁর মুখের রুচি ফিরবে। কিন্তু রাজকন্যা সেই ময়রার নাম বলতে পারেন না। শুধু বলেছিলেন,ময়রাটির একটি পা ছিল খোঁড়া।

advertisement

রাজা বর্ধমানে তাঁর দলবল পাঠালেন সেই ময়রাকে খুঁজে আনতে। অবশেষে তাকে খুঁজে নিয়ে আসা হল কৃষ্ণনগরের রাজবাড়িতে এবং তিনি আবার রাজকন্যার জন্য বানালেন এক ভাজা মিষ্টি। রসে দিয়ে মিষ্টি নরম করে পরিবেশন করলেন রাজকন্যার জন্য। শুধু রাজকন্যাই না, এই মিষ্টির স্বাদে মজে গেলেন স্বয়ং রাজাও।

এই মিষ্টির নাম কী? সেটা কেউই জানতেন না। তাই অবশেষে সেই ময়রা, যিনি মিষ্টি বানিয়েছিলেন, তিনি যেহেতু খুড়িয়ে বা লেংচিয়ে হাঁটতেন, তাই মিষ্টির নাম হল ল্যাংচা। রাজা খুশি হয়ে ময়রাকে দেন প্রচুর উপহার।  কৃষ্ণনগর থেকে বর্ধমানে ফিরে শক্তিগড়ের ল্যাংচা দোকান শুরু করে ময়রা ।

advertisement

কিন্তু ইতিহাসবিদ সর্বজিৎ যশ জানান, ল্যাংচার ইতিহাসের সঙ্গে কোনওভাবেই কৃষ্ণনগরের যোগাযোগ নেই। এই তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুল। এমনকি রাজপুত্র ও রাজকন্যার যে বৈবাহিক সম্পর্কের কথা বলা হয়, তাও ভুল। কারণ কৃষ্ণনগরে রাজার সঙ্গে বর্ধমানের রাজার সুসম্পর্ক ছিল না। ল্যাংচা তৈরি হয়েছিল বর্ধমানের শক্তিগড়েই। এর সঙ্গে কৃষ্ণনগরের কোনও যোগাযোগ নেই। যিনি এই মিষ্টি তৈরি করেছিলেন, তিনি যেহেতু লেংচিয়ে হাঁটতেন, তাই মিষ্টির নাম হয় ল্যাংচা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বয়স মাত্র ৯! চোখে দৃষ্টি শক্তি নেই, ছোট্ট মৈত্রী'র জীবন আলো করে রয়েছে গান!
আরও দেখুন

সায়নী সরকার 

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
History Of Langcha: শক্তিগড়ের বিখ্যাত 'ল্যাংচা'র নাম 'ল্যাংচা' কেন? আসল উত্তর জানলে চোখ কপালে উঠবে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল