Foods to Battle Acidity: শীতকালে অ্যাসিডিটি বাড়ে, মুঠোমুঠো অ্যান্টাসিড নয়, যে ৩ সাধারণ খাবারে ১ সেকেন্ডেই সায়েস্তা বুক-জ্বালা, বদহজম, চোঁয়া ঢেকুর

যা খান তাতেই গ্যাস-অম্বল-চোঁয়া ঢেঁকুর? অ্যাসিডিটি আর বুক-জ্বালায় খাওয়ার ইচ্ছাই চলে গিয়েছে? ইদানীং 'ফাস্ট লাইফ'-এর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত ঘুমের রুটিন নানারকম পেটের সমস্যার জন্য দায়ী। বিশেষ করে শীতকালে অভাসিডি-গ্যাস-অম্বল আরও বাড়ে!

প্রথমে একটি গ্লাস গরম জল নিন। তাতে এক চিমটে হিং গুলে দিন। চাইলে স্বাদ বাড়াতে একটু লেবুর রস বা সাদা লবণ (সেন্ধা লবণ) মেশাতে পারেন। এই জল ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে পান করুন। দিনে ১ থেকে ২ বার বা প্রয়োজন অনুযায়ী খাওয়া যেতে পারে।

পুষ্টিবিদ ও আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ জুহি কাপুর বলেন, “বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাসিডিটি খারাপ জীবনযাত্রার ফল। যদি আপনি রাতে দেরি করে ঘুমান, অসময়ে খান, প্রায় প্রতি বেলাতেই অতিরিক্ত খাবার খান, তা হলে অ্যাসিডিটি পিছু ছাড়বে না।'' পাকস্থলীর গ্রন্থিতে অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণই অ্যাসিডিটির মূল কারণ। খুব ঝাল খাবার খেলে কিংবা দু’টি খাবারের মধ্যে লম্বা সময় ফাঁক থাকলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়।অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করে, এমন তিনটি খাবার হল—

কলা: দিনের শুরু করুন একটি কলা দিয়ে। এতে আপনার অ্যাসিডিটির সমস্যার অন্তত অর্ধেকটাই মিটে যাবে।

তুলসী বীজ : এক গ্লাস জলে অন্তত ২ টেবিল চামচ তুলসী বীজ ভিজিয়ে খেয়ে নিন। তুলসী বীজ ঠান্ডা প্রকৃতির এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। তবে জুহি কাপুর জানান, পিরিয়ডস চলাকালীন তুলসী বীজ খাওয়া চলবে না।

ডাবের জল: জুহি কাপুরের মতে, সকাল ১১টার দিকে এক গ্লাস ডাবের জল খান, এতে অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।

জুহি কাপুরের মতে, অল্প অল্প করে বার বার খাবার খান,অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া এড়িয়ে চলুন।সপ্তাহে মাত্র ২ থেকে ৩ দিন আমিষ খাবার খান, তার বেশি নয়।

অ্যাসিডিটি বাগে আনতে জুহি কাপুরের টিপস,রোজের ডায়েট থেকে শস্য জাতীয় খাবার বাদ দেবেন না।প্রতিটি খাবারের পর অন্তত ১০০ পা হাঁটার চেষ্টা করুন।খাওয়ার পর বজ্রাসনে বসার অভ্যাস করুন। সবশেষে, সবসময় পজিটিভ চিন্তাভাবনা করুন, খুশি থাকুন।