পরিবার কিংবা প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরে আসুন, মন ভরে ছবি তুলুন, সঙ্গে জানুন জমিদার শাসনের নানা ইতিহাসের কাহিনী। ঘুরতে যেতে কমবেশি সকলেই বেশ পছন্দ করেন। নিত্য নতুন ডেস্টিনেশন বরাবরই পছন্দের থাকে ভ্রমণপিপাসু বাঙালিদের। তাই দুর্গাপুজোর সময়ে অথবা যে কোনও ছুটির দিনে ঘুরে দেখুন পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন পাথরার বন্দ্যোপাধ্যায় জমিদার বাড়ি। কালের নিয়মে ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বক্ষণের সংরক্ষিত একাধিক মন্দির, জমিদার বাড়ি বা কাছারিবাড়ির ধ্বংসাবশেষ আপনি দেখতে পাবেন এখানে। শহরের কোলাহল, দৈনন্দিন ব্যস্ততা ছেড়ে গ্রামীন পরিবেশে চারিদিকে ঘেরা এই জায়গায় এলে মন ভাল হয়ে যাবে আপনার।
advertisement
মেদিনীপুর শহর থেকে অনতি দূরে রয়েছে মন্দিরময় পাথরা গ্রাম। এই গ্রামে বেশ কয়েক’শ বছর আগে শাসন চালাত এই জমিদার পরিবার। তবে সময় যত এগিয়েছে, তত ক্রমেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে তাদের এই বসতভিটে। বর্তমানে তাদের উত্তর পুরুষেরা এই বাড়িতে থাকেন না। তবে দেখার বলতে রয়েছে, তাদের তৈরি জমিদার বাড়ি, জমিদার বাড়ির দেওয়ালে থাকা বিভিন্ন বিভিন্ন আঁকিবুঁকি। পূর্ব দিকে মুখ করা তিনটি মন্দির, সুদৃশ্য রাসমঞ্চ।
ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বক্ষণ দ্বারা সংরক্ষিত বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের তৈরি পূর্ব দিকে মুখ করা তিনটি পঞ্চরত্ন শিব মন্দিরের গঠনশৈলী দেখে আপনি অবাক হবেন। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এই মন্দির গুলোর গঠন রীতি টেরাকোটা আদলে। মন্দিরের সামনে রয়েছে টেরাকোটা নির্মিত দ্বারপাল, মন্দিরের সামনের দিকে টেরাকোটা নির্মিত একাধিক দৃশ্যকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে যারা পুজোর দিনে ঘুরে আসার পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন পাথরার বন্দ্যোপাধ্যায় জমিদার বাড়ি। নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে।
পাথরা এসে ঘুরে যান এই জায়গা। কী ভাবে যাবেন? বাসে কিংবা ট্রেনে এলে আপনাকে নামতে হবে মেদিনীপুর বাস স্ট্যান্ড কিংবা মেদিনীপুর রেলওয়ে স্টেশনে। সেখান থেকে ছোট গাড়ি বা অটো ধরে আসা যাবে পাথরা। এছাড়াও ছোট প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে পৌঁছতে পারবেন পাথরা জমিদার বাড়ি। গুগল লোকেশন: https://maps.app.goo.gl/fLtSJhGqwD7Wa3Ds6





