ভারতীয়দের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ২০২২ সালে ল্যানসেট আঞ্চলিক স্বাস্থ্য জার্নাল প্রকাশ করেছিল যে, ৭৫ শতাংশ ভারতীয় উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন৷ তাঁদের রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত। এটি যৌথভাবে বোস্টন স্কুল অফ পাবলিক হেলথ ও দিল্লির জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। সেই রিপোর্টেই বলা হয়েছিল ভারতীয়দের শুধুমাত্র ২৪.২ শতাংশ রোগীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘরে ঝাড়ু এভাবে রাখবেন না, বাস্তুদোষে সব টাকা খুইয়ে হতদরিদ্র হতে পারেন!
বিশেষজ্ঞদের দাবি, কিছু ক্ষেত্রে পরিবারে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত হতে পারে এই রোগ। মূলত দু’ভাবে ঘটে বিষয়টি। কিছু বিরল ক্ষেত্রে সরাসরি বাবা-মায়ের থেকে সন্তানের দেহে সঞ্চারিত হয় এই রোগ। এই বিষয়টি জিনগত। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে পরোক্ষ ভাবেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে বিষয়গুলি সচরাচর সমস্যা তৈরি করে, সেগুলিকে ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’ বলে।
আরও পড়ুন: মহালয়ার দিন ভুলেও এই তিন কাজ করবেন না! জীবনে নেমে আসবে ঘোর অন্ধকার, জানুন জ্যোতিষকথা
বাবা-মায়ের থাকলে স্থূলতা, থাইরয়েড কিংবা হৃদ্যন্ত্রের সমস্যার মতো রিস্ক ফ্যাক্টরগুলি বিপদ ডেকে আনতে পারে সন্তানের ক্ষেত্রেও। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁদের বাবা-মায়ের মধ্যে এই রিস্ক ফ্যাক্টরগুলি দেখা যায়, সন্তানদের দেহেও এই বিষয়গুলি দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে কিছু ক্ষেত্রে ৫ বছর অন্তর পর্যবেক্ষণেও থাকতে হতে পারে। তা ছাড়া যাঁদের বংশে হৃদরোগ, স্ট্রোক কিংবা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের বয়স ৪০-৪৫ ছুঁলেই করাতে হবে রক্তচাপের পরীক্ষা। এখন চাইলে বাড়িতেও রক্তচাপ মাপার যন্ত্র পাওয়া যায়। তাই অবহেলা না করাই ভাল বলে মত চিকিৎসকের।