কোচবিহারের এক অভিঞ্জ চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ সরকার জানান, “প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম ও ইউরিক অ্যাসিড বেশি পরিমাণে নির্গত হওয়া। যেকোনোও কারণে মূত্রপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়া। এছাড়া মূত্রতন্ত্রে জন্মগত কোনো সমস্যা থাকলেও পাথর তৈরির আশঙ্কা থাকে। তবে প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির অত্যধিক কার্যকারিতা রক্তে ও প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম বাড়িয়ে দেয়। আর এক্ষেত্রে দুই দিকের কিডনিতেই অনেক পাথর তৈরি হয়। অনেক ক্ষেত্রেই কিডনিতে পাথরের কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে। মেরুদণ্ডে ব্যথার জন্য নিয়মিত চেক-আপের সময় অনেক ক্ষেত্রে ধরা পড়ে। কিডনির পাথরের জন্য ব্যথা হলে ওপরের পেটের অথবা নিচের পিঠের ডানে বা বাঁয়ে মাঝে মৃদু ব্যথা হতে পারে।”
advertisement
আরও পড়ুন: হঠাৎ করে গ্যাসের ব্যথা উঠলে কী করবেন? এই উপায়ে মুহূর্তে দূর হবে গ্যাস-অম্বল-ব্যথা!
তিনি আরোও জানান, “ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। প্রায় ৬০-৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই পাথর পাওয়া যায়। এই পাথর এক্স-রে করলে ধরা পড়ে যায়। ক্যালসিয়াম অক্সালেট ও ফসফেটের মিশ্রণে পাথর তৈরি হয়। অ্যামোনিয়াম-ম্যাগনেশিয়াম-ক্যালসিয়াম ফসফেট সংক্রমণ হলে সাধারণত এই জাতীয় পাথর হয়। ইউরিক অ্যাসিড স্টোন সাধারণত এক্স-রেতে দেখা যায় না। গাউট বা বাতজনিত রোগীদের ক্ষেত্রে এই পাথর বেশি দেখা যায়। তবে একবার পাথর হলে ছোট অবস্থায় তা নিজেই বের হয়ে যেতে পারে। অন্যথায় সেটি বের করে ফেলতে হবে দ্রুত। পাথর কিডনির ভেতর থাকলে কিডনির ক্ষতি হয় বেশ অনেকটাই।” পাথর যাতে কিডনিতে না হতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া অত্যাবশ্যক। তবে কোন সমস্যা মনে হলে অবশ্যই কোন অভিঞ্জ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Sarthak Pandit