মাছের সাইজ যাতে তাড়াতাড়ি বাড়ে, সেজন্য অনেকসময় মাছচাষিরা নানারকম হরমোন ইঞ্জেক্ট করেন মাছের শরীরে। তাছাড়া যেসমস্ত ফার্মে চাষ করা হয়, সেখানে মাছকে প্রচুর পরিমাণে হরমোন ও অ্যান্টি-বায়োটিক ইঞ্জেক্ট করা হয়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। সেই জন্য বাজারে গিয়ে হাত নিশপিশ করলেও বড় আকারের মাছ কেনা এবার বন্ধ করুন। ছোট সাইজের মাছ কিনুন। ওগুলোয় অনেক বেশি উপকার শরীরের পক্ষে।
advertisement
ছোট মাছ দামে কম বেশি যেমনই হোক, তেমনই পুষ্টিতে ভরপুর। তাই রোজকার পাতে এই সব মাছই রাখার চেষ্টা করুন। সপ্তাহে একদিন বড় মাছ খাওয়া যেতেই পারে।ছোট মাছ স্বাদে তুখোড়। তবে ময়া মাছ কাঁটার ভয়ে অনেকেই খেতে চান না। ১০০ গ্রাম মাছের মধ্যে ২০.৩ গ্রাম প্রোটিন ঠাসা থাকে। এছাড়াও থাকে ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস এবং ভিটামিন এ। যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। পাশাপাশি, হাড় ও দাঁত গঠনে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত দরকারি। ১০০ গ্রাম পুঁটি মাছে ১৪৪ ক্যালোরি থাকে, যা শরীরকে শক্তি যোগায়।
আরও পড়ুন: ঘুমোনোর আগে এই সব খাবার খাচ্ছেন? জীবনেও ওজন কমবে না! জানুন চিকিৎসকের মত
এমনকি বড় তৈলাক্ত মাছে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিকারক ফ্যাট থাকে, যা আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় ও হার্টের রোগ ও অন্যান্য নানা রোগের কারণ হতে পারে। তাছাড়া আপনার যদি হাঁপানি বা আরথ্রাইটিস থাকে সেক্ষেত্রে বড় ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে এই মাছ।
সুস্মিতা গোস্বামী