Gut Health: শুধুই গ্যাস-অ্যাসিডিটি নয়,এই লক্ষণগুলোও জানান দেয় শরীরে খারাপ ব্যাকটেরিয়া কিলবিল করছে
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
গাট হেলথ হল গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল ট্র্যাক বা জিআই ট্র্যাকের স্বাস্থ্য। এর মধ্যে পড়ে খাদ্যনালি,পাকস্থলি, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্র— সবটাই। পুষ্টি শোষণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গেও পেট বা গাট হেলথ জড়িত। এক কথায় সুস্থ থাকার চাবিকাঠি হল ভাল গাট হেলথ!
advertisement
1/7

আদর্শভাবে আমাদের শরীরে ১০ শতাংশ খারাপ ব্যাকটেরিয়া থাকা উচিৎ, ৮০ শতাংশ ভাল ব্যাকটেরিয়া। কিন্তু যখন খারাপ ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায়, ধরুন ৩৫ শতাংশ, তখন তাকে বলে ডিসবায়োসিস। এবার শরীরে চলে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার আধিপত্য। তারা বৃহদান্ত্র থেকে উপরের দিকে উঠে ক্ষুদ্রান্তে কলোনি বানিয়ে পাকাপাকিভাবে গেড়ে বসে। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে সিবো বা স্মল ইনটেস্টাইন ব্যাকটেরিয়াল ওভারগ্রোথ। কীভাবে বুঝবেন আপনার শরীরে খারাপ ব্যাকটেরিয়া বেড়ে গিয়েছে এবং তারা স্মল ইনটেস্টাইনে বাসা বেঁধেছে? জানাচ্ছেন জনপ্রিয় নিওরো লিংগুইস্টিক প্রোগরামিং ট্রেনার রাম বর্মা
advertisement
2/7
যদি দেখেন সকাল-দুপুর-বিকেল-রাত মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছে, তা হলে বুঝবেন, এটা আপনার ইচ্ছে নয়। খারাপ ব্যাকটেরিয়া আপনরা ক্ষুদ্রান্তে বাসা বেঁধেছে, তারাই আপনার মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করছে।
advertisement
3/7
যদি দেখেন খুব বেশি রিফাইন্ড ময়দাজাত খাবার যেমন বার্গার, পিৎজা, নুডল খেতে ইচ্ছে করছে, বার বার দুধ-চা খেতে মন চাইছে, তাহলে বুঝবেন আপনি সিবো বা স্মল ইনটেস্টাইন ব্যাকটেরিয়াল ওভারগ্রোথ-এ আক্রান্ত
advertisement
4/7
এই খারাপ ব্যাকটেরিয়া একপ্রকার বিষ নির্গত করে যাকে বলে এনডোটক্সিন। ডাক্তারি পরিভাষায় এর নাম লাইপোস্যাকারাইড। এই এনডোটক্সিন আমাদের রক্তে মিশে সোজা ব্রেনে গিয়ে পৌঁছায়। আর তাতেই ব্রেনের দফারফা। কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে, আমরা ঘন ঘন সবকিছু ভুলে যেতে থাকি। সিদ্ধান্ত নিতে পারি না, সর্বক্ষণ দ্বিধাগ্রস্ত থাকি। আর তখনই বুঝবেন, আপনার ব্রেনের কোষে থাবা বসিয়েছে লাইপোস্যাকারাইড।
advertisement
5/7
শরীরে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া মানে, ব্যাকটেরিয়াগুলো আপনার রক্তে মিশে গিয়েছে, কাজেই ব্রেনের পাশাপাশি হানা দিতে থাকে আপনার চোখ, কিডনি, লিভারেও। আক্রমণ করতে পারে আপনার হরমোন সিস্টেম। অর্থাৎ আপনার গোটা শরীরে প্রদাহ ছড়িয়ে পড়ে। আর এই প্রদাহ নাশ করতে পারে একমাত্র ভালো ব্যাকটেরিয়া-ই।
advertisement
6/7
যদি ফাংগাল ইনফেকশন হয়, ত্বক ঘনঘন চুলকায়, বুঝতে হবে আপনি সিবো বা স্মল ইনটেস্টাইন ব্যাকটেরিয়াল ওভারগ্রোথ-এ আক্রান্ত
advertisement
7/7
ঘুম না আসা বা ঘুম ভেঙে গেলে আর ঘুমাতে না পারা, ত্বকে সমস্যা, চুল পড়া, সারাক্ষণ মনে নেগেটিভ চিন্তা আসা, অ্যালার্জি, মুড সুইং, সকালে ক্লান্তি, পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য, ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া-- এ সবই কিন্তু শরীরে খারাপ ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Gut Health: শুধুই গ্যাস-অ্যাসিডিটি নয়,এই লক্ষণগুলোও জানান দেয় শরীরে খারাপ ব্যাকটেরিয়া কিলবিল করছে