TRENDING:

Tamluk Bargabhima Temple: কাত্যায়নী চতুর্দশীতে সতীপীঠ বর্গভীমা মন্দিরে সপ্তসতী যজ্ঞ ও দেবীর বিশেষ পুজো উপলক্ষে অগণিত ভক্ত সমাগম

Last Updated:

Tamluk Bargabhima Temple: প্রতিবছর কাত্যায়নী চতুর্দশী তিথিতে দেবী বর্গভীমা মায়ের বার্ষিক পুজো ও যজ্ঞ হয়। ডিসেম্বরের ৪ তারিখ বৃহস্পতিবার বর্গভীমা মন্দিরে শুরু হয়েছে সপ্তসতী যজ্ঞ ও মায়ের বিশেষ পুজো। আর সেই উপলক্ষে দূর দূরান্ত থেকে ভক্তদের সমাগম মন্দিরে। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
তমলুক, সৈকত শী: তমলুক তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভীমা মা। পুরাণে বর্ণিত দেবী বর্গভীমা মায়ের মন্দির ৫১ সতীপীঠের এক পীঠ! তাই বর্গভীমা মন্দিরে সারা বছরই ভক্তদের ভিড়ে লেগেই থাকে। এছাড়া বছরের নানা তিথিতে দেবী বিশেষ রূপে পূজিতা হন। তবে প্রতিবছর কাত্যায়নী চতুর্দশী তিথিতে দেবী বর্গভীমা মায়ের বার্ষিক পুজো ও যজ্ঞ হয়। ডিসেম্বরের ৪ তারিখ বৃহস্পতিবার বর্গভীমা মন্দিরে শুরু হয়েছে সপ্তসতী যজ্ঞ ও মায়ের বিশেষ পুজো। আর সেই উপলক্ষে দূর দূরান্ত থেকে ভক্তদের সমাগম হয়েছে মন্দিরে। দিনভর চলবে যজ্ঞ। যজ্ঞের শেষে আহুতি দিতে পারবেন সাধারণ ভক্তরা!
advertisement

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর ঐতিহাসিক তাম্রলিপ্ত বা তমলুকের আজও মধ্যমণি মা বর্গভীমা। কয়েক হাজার বছর ধরে শক্তি স্বরূপিণী আদ্যাশক্তি মহামায়া রূপে দেবী বর্গভীমার আরাধনা চলে আসছে। মতান্তরে তিনি ভীমরূপা বা ভৈরব কপালী নামেও পরিচিত। অতীতের প্রায় সব কিছুই ধ্বংসের মুখে চলে গেলেও স্বমহিমায় আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে এই সুবিশাল মন্দির। ওড়িশি স্থাপত্যের আদলে এই দেউলের উচ্চতা প্রায় ৬০ ফুট। মন্দিরের দেওয়ালে টেরাকোটার অজস্র কাজ। তার মধ্যেই মন্দিরের গর্ভগৃহে কালো পাথরে তৈরি মায়ের মূর্তি বিরাজ করছে দেবী উগ্রতারা রূপে। সতীর একান্ন পীঠের এক পীঠ তমলুকের দেবী বর্গভীমা, বর্তমানেও নিষ্ঠার সঙ্গে পূজিতা হন মা। সারা বছর বিশেষ তিথিতে বিশেষ পুজোর পাশাপাশি কাত্যায়নী চতুর্দশীতে মায়ের বার্ষিক পুজোর আসর বসেছে মন্দিরে।

advertisement

আরও পড়ুন : ব্লাড সুগারে কি কমলালেবু খাওয়া যায়? নাকি এক কোয়া খেলেই হু হু করে বাড়বে ডায়াবেটিস? জানুন

এ বিষয়ে মন্দিরের সেবায়েত সমীরণ অধিকারী জানান, “কাত্যায়নী চতুর্দশীতে মায়ের বার্ষিক পুজো হয়। এদিন মায়ের বার্ষিক পুজো ও সপ্তসতী যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। এই যজ্ঞের অগ্নিসংযোগ হয় সূর্যের আলো থেকে। যজ্ঞে কয়েক কুইন্টাল কাঠ ও কয়েক মণ ঘি আহুতি দেওয়া হয়। সপ্তসতী যজ্ঞ হয় সপ্তশত শ্লোক পাঠের মাধ্যমে। যজ্ঞের শেষে আহুতি দিতে পারে সাধারণ মানুষ। সেই উপলক্ষে মন্দিরে ভক্তদের সমাগম হয়েছে। দিনভর চলবে যজ্ঞের অনুষ্ঠান ও বার্ষিক পুজো। ভক্তরা নিজের পরিবার, সমাজ ও বিশ্বের কল্যাণে আহুতি দিতে পারেন।”

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
সঙ্গীতশিল্পী এসডি বর্মনের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল জঙ্গলমহলের!কোন সম্পর্ক জড়িয়েছিলেন
আরও দেখুন

তমলুকের শক্তিপীঠের প্রাচীন নাম বিভাস। দেবী এখানে বর্গভীমা বা ভীমারূপা নামে অধিষ্ঠিত। ভৈরব সর্বানন্দ মতান্তরে কপালি। মহামায়া সতীর দেহাংশের মধ্যে বাম গুল্ফ বা বাম পায়ের গোড়ালি পড়েছিল এখানে। দেবী ভক্তদের চারটি বর্গ দান করেন, তাই তাঁর নাম বর্গভীমা।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Tamluk Bargabhima Temple: কাত্যায়নী চতুর্দশীতে সতীপীঠ বর্গভীমা মন্দিরে সপ্তসতী যজ্ঞ ও দেবীর বিশেষ পুজো উপলক্ষে অগণিত ভক্ত সমাগম
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল