TRENDING:

West Midnapore News: নাম মহুয়া, প্রচুর গুণাবলী, না জানলে তুমুল মিস করবেন

Last Updated:

শরীরের নানা রোগ উপশমে অনন্য ভূমিকা পালন করে মহুয়া। মহুয়া ফুল, ফল, গাছের বাকল নানা রোগ উপশমে কাজ করে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহলের প্রচলিত ফুল মহুয়া। জঙ্গলমহল যেমন পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম এর বিস্তীর্ণ অংশের দেখা মেলে মহুয়া গাছের।মূলত গ্রীষ্মকালীন সময়ে পাওয়া যায় এই মহল ফুল বা মহুয়া। জঙ্গলমহলের জীবিকার ধারা বইতে সহায়তা করে মহুয়া। মহুল ফুলের\”মহুল ফুল\” বা \”মহুয়া ফুল\” জঙ্গলমহলের গ্রীষ্মকালীন এক অনন্য সম্পদ। গ্রীষ্মের মহুলের গন্ধে ম ম করে জঙ্গলমহলের পরিবেশ।পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, বসন্তের শেষ সময় থেকে মহুল ফুল ভরে যায় জঙ্গলমহলের সবুজ গাছে।
advertisement

হালকা সবুজ রঙের দেখতে এই মহুয়া ফুল স্বাদেও বেশ।চৈত্রের তীব্র দাবদাহের মধ্যেও এই ফুল বেশ রসালো হয় আর স্বাদে অম্লমধুর। গাছের নিচে যেন হালকা সবুজের কার্পেট গোছানো থাকে মহুল ফুলে।জঙ্গলমহলে সকাল হতে না হতেই মহুল ফুল কুড়োনোর ব্যস্ততা দেখা যায়। এই রুক্ষ আবহাওয়ায় যেহেতু জঙ্গলমহলে তেমন চাষ আবাদ হয় না, তাই এই মহুল ফুল-ই প্রান্তিক মানুষগুলোর জীবন-জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হয় ওঠে।ভেষজ গুণে মহুয়া অত্যন্ত সমৃদ্ধ।

advertisement

মহুয়ার পাতা, বাকল, ফুলের নির্যাস ও তেলের বীজ নানা রোগের চিকিত্সায় বহুকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।মহুল ফুল সর্দি কাশি, অগ্নিমান্দ্য, আন্ত্রিক রোগ, অর্শ, বাত-ব্যথা, মাথার ব্যথা—এসবের নিরাময়ে গুরুত্ব ভূমিকা পালন করে। তা ছাড়া পুরোনো ক্ষত ও কীট দংশনেও বিষ-ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই ফুল। জঙ্গলমহলের মানুষেরা প্রাকৃতিক হিসেবে মশার যন্ত্রণা, কীটপতঙ্গের দংশনের ক্ষেত্রে মহুয়া বীজের তেল ব্যবহার করে থাকে।

advertisement

যা জঙ্গলমহলের ভাষা কড়চা তেল ওবলে।এছাড়া কৃমির চিকিৎসায় মহুয়া বীজের তেল ব্যবহার করা হয়।শুধু তাই নয় জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে মহুল ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। জঙ্গলমহলের মানুষেরা মুকুল ফুল কুড়িয়ে, রোদে শুকিয়ে গেলে এরা ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে।

মহুল ফুলে প্রচুর পরিমাণে সুগার, মিনারেল ও ভিটামিন থাকে। এই ফুলের নির্যাস থেকে এক বিশেষ ধরনের অ্যালকোহল সমৃদ্ধ পানীয় বানানো হয়ে থাকে। যা ট্রাইবাল জনগোষ্ঠীর অন্যতম এক পানীয়।

advertisement

আরও পড়ুন: Grahan ka Daan: চন্দ্রগ্রহণের পরে দান করুন রাশি অনুযায়ী, টাকা পয়সা উপচে পড়বে, সৌভাগ্য চিরস্থায়ী

এছাড়া এর ফল কাঁচা অবস্থায় রান্না করে খাওয়া হয়। পরিপক্ক অবস্থায় এই ফলের বীজ থেকে তেল প্রস্তুত করা হয় যা স্থানীয়ভাবে ‘কচড়া তেল’ নামে প্রসিদ্ধ।আগেকার দিনে এই তেল ব্যবহার করে রান্না করত তবে এখন আর তেমন ব্যবহৃত হয় না।এই কচড়া তেলের ভেষজ গুণ অপরিসীম। এই তেল জয়েন্টের ব্যাথা, মাথা ব্যথা, সর্দিকাশি ও কৃমি নিরাময়ে উপসমদায়ক।

advertisement

আরও পড়ুন: পান্তাভাতের ইংরেজি জানেন?

এছাড়াও ক্ষত নিরাময়ে ও কীট-পতঙ্গ কামড়ালে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

এছাড়াও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আচার অনুষ্ঠানে এই মহুল গাছের উপস্থিতি মঙ্গলজনক মনে করা হয়। ওনাদের বিয়েবাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই গাছ ভগবান রূপে পূজিত হয়ে থাকে।

এই গাছ জঙ্গলমহলের জনজীবনে মাতৃসম।

Ranjan Chanda

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/স্বাস্থ্য/
West Midnapore News: নাম মহুয়া, প্রচুর গুণাবলী, না জানলে তুমুল মিস করবেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল