গরম পড়তেই মালদহের বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। তবে স্থানীয় তরমুজ এখনও বাজারে আসেনি। প্রতিবছর গরমের শুরুতে মালদহের বাজারে বিক্রি হয় মহারাষ্ট্রের তরমুজ। এই বছরেও মরশুমের শুরুতে মালদহের বাজারে মহারাষ্ট্রের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্য বছর এই সময়ে খুব সামান্য পরিমাণে তরমুজ মহারাষ্ট্র থেকে আমদানি হত। ফলে মালদহের বাজারে চড়া দামে বিক্রি হত তরমুজ। এই বছর মহারাষ্ট্রের তরমুজের উৎপাদন ব্যাপক হারে হয়েছে। যার যারে মালদহের বাজারেও তরমুজের আমদানি প্রচুর পরিমাণে হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ KFC চিকেন দেখলেই জিভে জল আসে, কিন্তু ফুল ফর্ম জানেন কি? ৯০% মানুষই জানেন না
মরশুমের শুরুতেই চাহিদার থেকে বেশি পরিমাণে তরমুজ মালদহের আসছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে সামান্য কিছু দামও কমেছে। অন্যান্য বছর এই সময় বাজারে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় তরমুজ। এ বছর মহারাষ্ট্রের তরমুজ আমদানি বেশি হওয়ার ফলে এখনই বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে। সাধারণ মানুষ মরশুমের শুরুতেই সস্তায় তরমুজ পেলেও কিছুটা হলেও লোকসান হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
আরও পড়ুনঃ ৬ মাস পর ৪০ মিনিটের মিলন! প্রকাশ্যে ভালবাসায় মজলেন পার্থ-অর্পিতা, মাখামাখি প্রেমে তোলপাড় আদালত
মালদহ বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ীরা বলেন, মহারাষ্ট্রের ব্যাপক ফলন হওয়ার ফলে আমদানি বেশি হচ্ছে। আমাদের লাভের পরিমাণ কিছুটা কমে গিয়েছে। প্রতিদিন গড়ে মালদহে ১৫০ টন করে তরমুজ আসছে। মালদহের নিয়ন্ত্রিত বাজার থেকেই জেলার প্রতিটি প্রান্তে তরমুজ যাচ্ছে। তবে বাজারে স্থানীয় তরমুজ চলে আসলে মহারাষ্ট্রের তরমুজের চাহিদা অনেকটাই কমে যাবে। যদিও স্থানীয় তরমুজের থেকে মহারাষ্ট্রের তরমুজ বেশ মিষ্টি। ভেতরে লাল বেশি তবে স্থানীয় তরমুজ টাটকা হওয়ায় সাধারণ মানুষ সেই তরমুজই বেশি কেনেন।
চিকিৎসকদের মতে, গরমের মরশুমে তরমুজের উপকারিতা অনেক। মালদহের বিশিষ্ট আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, আয়ুর্বেদ মতে তরমুজ শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে। এ ছাড়াও বলকারক, দাহনাশক, ধাতুপোষক। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে খাওয়া উচিৎ নয়।
হরষিত সিংহ