*চিকেনের পিসে কামড় দিয়ে উল্টো দিকের দেওয়ালে আপনি একজনের ছবি দেখেন নিশ্চই। চশমা পরা সদাহাস্যমুখের বৃদ্ধ কর্নেল স্যান্ডার্স। কেন্টাকির ভাজা চিকেনকে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বের কোণায় কোণায়। তবে তা একদিনে হয়নি। তাঁর এই চিকেনের রেসিপি জনপ্রিয় করতে ওই বৃদ্ধকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৬২ বছর। তার আগেও কম রোমাঞ্চকর ছিল না তাঁর পথ চলা। সংগৃহীত ছবি।
*কেএফসি’র পুরো নাম কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেন। কর্নেল হারল্যান্ড ডেভিড স্যান্ডার্স কেএফসি বা কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেনের প্রতিষ্ঠাতা। খুব ছোটবেলায় স্কুলছুট হন ডেভিড। এরপর কাজ করেছেন ক্ষেতে, ট্রেনের ফায়ারম্যান, সেলসম্যান, আইনজীবী, গাড়ির টায়ার বিক্রেতা বা ফিলিং স্টেশনের কর্মচারি হিসেবে। নাম লিখিয়েছিলেন রাজনীতিতেও। শেষে নামেন পড়েন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়। সংগৃহীত ছবি।
*এরপর একের পর এক কাজ করেছেন, আর কাজ ছেড়েছেন স্যান্ডার্স। পাড়ি জমান কেন্টাকি রাজ্যের উইনচেস্টারে। সেখানেও একাধিক চাকরি করার পরে ১৯৩০ সালে খাবার সরবরাহের কাজ শুরু করেন। তাঁর খাবারের জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে। ১৯৩৯ সালে নর্থ ক্যারোলাইনার অ্যাশেভ্যালিতে একটি মোটেল নেন স্যান্ডার্স। ওই বছরই নভেম্বর মাসে আগুন লেগে দোকানটি পুরোপুরি পুড়ে যায়। সংগৃহীত ছবি।
*এরপর মোটেলটিকে ১৪০ আসনের একটি রেস্টুরেন্টে রূপ দেন স্যান্ডার্স। ১৯৫২ সালে স্যান্ডার্স ‘চিকেন ফ্রাই’ বানানো শুরু করেন। বেশ কিছুদিনের মধ্যেই স্যান্ডার্স ও তার স্ত্রী মিলে সেলবাইভ্যালিতে একটি রেস্তোরাঁ খুলে বসেন। সেই শুরু, সেই রেস্তোরাঁই আজকের কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেন। যা কেএফসি নামে সারাবিশ্বে পরিচিত। সংগৃহীত ছবি।