অনেকেই জানেন না দেওয়াল রঙ করার এই বিশেষ গন্ধ শিশুদের অসুস্থ করে ফেলতে পারে। শুধু শারীরিক নয়, মানসিক সমস্যাও তৈরি হতে পারে। এমনকী অনেকের মধ্যে মৃগীর উপসর্গও দেখা দেয় এই রঙের গন্ধে। একটি বিশেষ সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে এই সত্য। ২২ থেকে ২৮ অক্টোবর ২০২৩-এ পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বাজারে যে বিভিন্ন ধরনের রঙ পাওয়া যায়, তার মধ্যে সীসার পরিমাণ মারাত্মক বেশি।
advertisement
এই গবেষণাটি ইন্টারন্যাশনাল পল্যুটেন্ট ইমালশন নেটওয়ার্ক (IPEN) এর সহযোগিতায় করা হয়েছে। এই সমীক্ষায় বিভিন্ন ধরনের রঙের ১৮টিরও বেশি নমুনা নেওয়া হয়েছিল। রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে, ওই সব নমুনায় ৯০ পিপিএম-এর বেশি সীসা মিলেছে।
আরও পড়ুন: দিঘা যাওয়ার পথে শুধুই রক্তের স্রোত, সব আনন্দ শেষ হয়ে গেল পরপর মৃত্যুতে!
শিশুদের জন্য ক্ষতিকর—
লখনউয়ের অ্যাপোলো মেডিক্স হাসপাতালের পালমোনোলজি অ্যান্ড স্লিপ মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. অভিষেক ভার্মা বলেন, সীসা তিনটি উপায়ে শরীরে প্রবেশ করে— শ্বাসের মাধ্যমে, স্পর্শের মাধ্যমে বা সরাসরি মুখের ভিতরে গিয়ে।
সবচেয়ে বিপজ্জনক শ্বাসের মাধ্যমে সীসা প্রবেশ করা। দেওয়াল রঙ করার গন্ধ থেকে এটা হতে পারে। সাধারণত রঙের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সীসা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ঘ্রাণের মাধ্যমে এই সীসা শরীরে প্রবেশ করলে মানসিক সমস্যা তৈরি করতে পারে, বিশেষত, শিশুদের ক্ষেত্রে। পরিস্থিতি গুরুতর হতে পারে, যদি দেখা যায় শিশুদের মধ্যে খিঁচুনি তৈরি হচ্ছে। শারীরিক বিকাশও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: থাকবেন মমতা, পাশে থাকবেন অভিষেক! কালীপুজোর পরই বিরাট কাণ্ড তৃণমূলে
গর্ভবতী মহিলাদের জন্যও বিপজ্জনক—
বাড়ি রঙ করানো হলে অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাদেরও সেখান থেকে দূরে রাখা প্রয়োজন। গর্ভস্থ শিশুর উপরও এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। শিশুর শারীরিক বিকাশও বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা এমনকী গর্ভপাতের মতো পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।
প্রতিকার—
ডা. অভিষেক ভার্মা বলেন, যখন বাড়িতে রঙ করানো হবে, তখন শিশু ও মহিলাদের দূরে রাখাই ভাল।
রঙ করা হয়ে গেলে, ঘর ভাল ভাবে পরিষ্কার করে তবে তাঁদের ঘরে ঢুকতে দেওয়া দরকার।
নজর রাখতে হবে শিশুরা যেন ওই রঙ স্পর্শ না করে।
বাড়ি রঙ করানোর সময় পূর্ণবয়স্করাও মুখে মাস্ক পরে নিতে পারেন, তাতে খানিকটা সুরাহা হতে পারে।