ঘরোয়া উপায়ে ওজন কম করলে তাতে খরচ কম হয় এবং এতে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হয় না। অনেকে আবার বলেন যে ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজন সঠিক ডায়েট এবং ওয়ার্কআউট রুটিন। সময়ের মধ্যে ওজন কম করার লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ করতে গেলে অনেক পছন্দের খাবার ছেড়ে দিতে হয়। কারণ সেগুলো ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। বরং তার পরিবর্তে এমন কিছু বেছে নিতে হবে যা খেতেও ভাল, কিন্তু ওজন বাড়ায় না।
advertisement
আরও পড়ুন - Weather Alert: তাপমাত্রা বাড়ছে চিন্তায়, দু'দিনেই আবহাওয়ার বড় ভোলবদল, রইল লেটেস্ট আপডেট
ওজন বাড়লে কিছু আশঙ্কাজনক শারীরিক অবস্থা দেখা দিতে পারে। যার মধ্যে হার্টের অসুখ এবং টাইপ টু ডায়বেটিসও আছে। তবে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। ডায়েটে পরিবর্তন করলেই অনেকটা ফল পাওয়া যাবে। বিশেষ করে রাতের খাবারে পরিবর্তন আনা দরকার। কারণ রাতের খাবার হল দিনের শেষ খাবার এবং দিনের প্রথমার্ধের তুলনায় শরীরের বিপাকীয় হার কমে যায়। অতএব, রাতের খাবার হালকা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং যত দ্রুত সম্ভব এটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বলা হয় সর্বাধিক সন্ধ্যা ৮টার মধ্যে ডিনার খেয়ে নিতে। বর্ষশেষের এই কয়েকদিনে যখন বাইরের ডাক আসবে, তখন এই নিয়ম মেনে চলা যাবে না। কিন্তু বাড়িতে থাকলে সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় এই সুস্বাদু ডিনার রেসিপি।
আরও পড়ুন - সে কী কাণ্ড, সে কী কাণ্ড, বড়দিনে হুলস্থূল! হাইড্রেনে হাঁসফাঁস মহিষ, তারপর ভিডিওতে রইল প্রমাণ
সাবুদানার খিচুড়ি
উপকরণ
এক কাপ সাবুদানা
হাফ কাপ চিনাবাদাম
২ টেবিল চামচ ঘি
১ চা চামচ জিরে
৩ থেকে ৪টে গোটা শুকনো লাল লঙ্কা
১টি কারি পাতা
এক চা চামচ গুঁড়ো লঙ্কা
২ চা চামচ সাদা রক সল্ট
এক টেবিল চামচ ধনে পাতা
এক টেবিল চামচ লেবুর রস
প্রণালী
পাত্রে ঘি গরম করে তাতে জিরে ফোড়ন দিতে হবে। কারিপাতা ও শুকনো লঙ্কা দিতে হবে। লাল লঙ্কা পুড়ে গেলে তার মধ্যে ধুয়ে রাখা সাবুদানা দিতে হবে। হয়ে গেলে লেবুর রস ও ধনেপাতা ছড়িয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন - এবার মালেশিয়াতেও ক্যাম্পাস খড়গপুর আইআইটির, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ঘোষণা ডিরেক্টরের
জুকিনি পাস্তা
উপকরণ
২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
অর্ধেক হলুদ এবং অর্ধেক সবুজ জুকিনি
২টি কাঁচা লঙ্কা
রসুনের ৩ থেকে ৪টে কোয়া
পেঁয়াজকলি
৬-৮ চেরি টম্যাটো
নুন ও লঙ্কা স্বাদ অনুযায়ী
২-৩ তুলসি পাতা
১০০ গ্রাম স্প্যাগেটি
প্রণালী
পাত্রে তেল গরম করে তাতে জুকিনি কাঁচা লঙ্কা ও রসুন দিতে হবে। এবার পেঁয়াজকলি দিতে হবে। নুন লঙ্কা দিয়ে তারপর তুলসি পাতা দিতে হবে। নুন দেওয়া গরম জলে স্প্যাগেটি সেদ্ধ করতে হবে। নরম হয়ে গেলে জুকিনিতে দিতে হবে।
ওটসের ইডলি
উপকরণ
আড়াই কাপ ওটস
হাফ চা চামচ বেকিং সোডা
৩ চিমটি লবণ
১ চা চামচ কাঁচা লঙ্কা
১ চা চামচ হিং
২ চা চামচ সরষে দানা
আড়াই কাপ সুজি
৬ টেবিল চামচ মটরশুঁটি
প্রণালী
সব সবজি কেটে রাখতে হবে। ওটস ভেজে নিয়ে গুঁড়ো করতে হবে। সুজি ভেজে নিয়ে ওটসের গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। কড়াইতে তেল গরম করে তাতে সরষে ফোড়ন দিতে হবে। এর মধ্যে সবজি ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে সতে করতে হবে। ওটসের মিশ্রণ দিতে হবে। নুন, হিং, দইও দিতে হবে।ইডলি ব্যাটার হলে ইডলি প্লেটে রেখে তৈরি করতে হবে।
ডিমের চাট
৩টি সেদ্ধ ডিম
১ চা চামচ টম্যাটো চিলি সস
৩ চা চামচ তেঁতুলের নির্যাস
১ চা চামচ লেবুর রস
১ চা চামচ ভাজা জিরে গুঁড়ো
নুন স্বাদমতো
১টা কাঁচা লঙ্কা
১টা পেঁয়াজকলি কুচানো
প্রণালী
একটি বাটিতে টম্যাটো চিলি সস, তেঁতুলের রস, লেবুর রস, ভাজা জিরের গুঁড়া, সবুজ লঙ্কা এবং নুন মেশাতে হবে। সেদ্ধ ডিম দুটি টুকরো করে কেটে নিতে হবে। ডিমের উপর চাটনি ছড়িয়ে দিতে হবে। পেঁয়াজকলি এবং গরম মশলা ছড়িয়ে পরিবেশন করতে হবে।
ওটস চিলা
উপকরণ
আধ কাপ রোলড ওটস
আধ কাপ মটর
হাফ ইঞ্চি আদা
২ থেকে ৩টি রসুনের কোয়া
১ থেকে ২টি কাঁচা লঙ্কা
আধ চা চামচ জোয়ান
এক চিমটে হিং
নুন স্বাদ অনুযায়ী
হাফ চা চামচ দেশি ঘি
প্রণালী
ওটস ভিজিয়ে রাখতে হবে এক রাত। মটর সেদ্ধ করতে হবে। আদা, রসুন, কাঁচা লঙ্কা, জোয়ান, হিং ও নুন একসঙ্গে বেটে তার মধ্যে সেদ্ধ মটর দিতে হবে। ভেজা ওটস বেটে নিতে হবে। সব কিছু একসঙ্গে বেটে নিয়ে ব্যাটার বানিয়ে প্যানে দেশি ঘি দিয়ে চিলা ভেজে তুলতে হবে।
