এর মধ্যে অন্যতম হল নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক থেকে জল পড়া, পোস্টনেজাল ড্রিপ গলায় চলে যাওয়া, মাথা ব্যথা, গন্ধের অনুভূতিহীনতা, অতিরিক্ত হাঁচি, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি। আজ এই সমস্যা নিয়ে কথা বলছেন বেঙ্গালুরুর রিচমন্ড রোডের ফর্টিস হাসপাতালের ইএনটি হেড ও নেক কনসালট্যান্ট ডা. পূজা হর্ষা।
advertisement
সম্প্রতি কয়েকটি নামীদামি হাসপাতালে কিছু গবেষণা চালানো হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে যে, দীর্ঘকালীন সাইনাসজনিত সমস্যার সঙ্গে স্নায়ু সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। স্নায়বিক এই সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হল মনোনিবেশ করতে সমস্যা, স্মৃতিভ্রম, মানসিক বিষণ্ণতা প্রভৃতি।
বর্তমানে সাইনুসাইটিস রোগীরা এখন যেসব উপসর্গ নিয়ে ইএনটি বিভাগে আসছেন, তার মধ্যে অন্যতম হল নিদ্রায় ঘাটতি, দিনের বেলায় ক্লান্তিভাব, আলস্য, কাজে মনোনিবেশ করতে অসুবিধা, জীবনের মান কমে যাওয়া ইত্যাদি। এই সাইনুসাইটিস শিশু থেকে বৃদ্ধ – প্রায় সমস্ত বয়সের মানুষের হতে পারে। এর পাশাপাশি সাম্প্রতিক কালে অ্যালার্জি রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।
আবহাওয়ার পরিবর্তন, দূষণ, ফুলের রেণু এবং ধুলো ইত্যাদি থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। তবে আজকের দিনে উন্নত প্রযুক্তির ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থা সহজ হয়ে গিয়েছে। একজন ইএনটি সার্জন নাকের এন্ডোস্কোপি অথবা সাইনাসের সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দেবেন। নেজাল এন্ডোস্কোপি হল একটি দ্রুত প্রক্রিয়া। তবে উপসর্গ না বোঝা এবং সচেতনতার অভাবের কারণে ইএনটি বিশেষজ্ঞদের আরও বেশি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়।
সাইনুসাইটিসের সঙ্গে মাইগ্রেন এবং অন্যান্য স্নায়বিক অবস্থার উপসর্গের যোগ রয়েছে। সাইনুসাইটিসের প্রাথমিক চিকিৎসা মেডিকেলই হওয়া উচিত। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-হিস্টামিন, স্টেরয়েড স্প্রে ইত্যাদি। রোগ জটিল আকার ধারণ করলে ওরাল স্টেরয়েড এবং ইমিউনোথেরাপি জরুরি হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: সুস্বাস্থ্যের জন্য চিনি ছেড়ে বেছে নিয়েছেন গুড়? বড় সর্বনাশ হওয়ার আগে জেনে নিন
দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত রোগীদের একাধিক ওষুধের উপর থাকতে হয়। সাইনাসে বারংবার ইনফ্লেমেশন জটিল আকার ধারণ করতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিকও এর জন্য দায়ী হতে পারে। পরিস্থিতি জটিল হলে সার্জারিই হবে সেরা বিকল্প। এক্ষেত্রে সবথেকে সাধারণ সার্জারি হল ফাংশনাল এন্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারি। সাইনাসের বায়ু চলাচলের পথ রোধকারী ব্লক সরিয়ে দেওয়াই এই সার্জারির মূল উদ্দেশ্য।