পুরনো দিনের সেই দল বেঁধে মাঠে বা রাস্তায় খেলে বেড়ানো এখন প্রায় অবলুপ্তির পথে। অন্যদিকে, আজকাল বাবা-মায়েরা অধিকাংশ সময় কাজে ব্যস্ত থাকেন বলে বাচ্চাদের হাতে তুলে দেন মোবাইল। এর খারাপ প্রভাব পড়ে শিশুদের উপরে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে শিশুরা অকারণে বিরক্ত বোধ করছে, তাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকছে- কারণ কিন্তু অনলাইনে গেম খেলা এবং কখনও আবার খেলতে না পারা।
advertisement
ভিলওয়ারার ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল অ্যান্ড হেলথ অফিসার ডা. ঘনশ্যাম চাওলা জানিয়েছেন, অনলাইন গেমের প্রবণতা যেভাবে বাড়ছে, তাতে ছোট বাচ্চাদের উপরে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। এর কারণে শিশুদের মধ্যে অকারণে বিরক্তি বোধ দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, মোবাইলে বেশি সময় কাটানোর কারণে শিশু বা যুবদের মানসিকতা, চিন্তা-ভাবনা করার ক্ষমতা এবং দেখার ক্ষমতাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
দীর্ঘক্ষণ মোবাইল দেখা এবং গেম খেলা শিশুদের চিন্তা ও বোঝার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। প্রায়ই দেখা যায় বাবা-মায়েরা কাজে ব্যস্ত থাকায় শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দেন। এরপর ওই শিশু প্রায় কয়েক ঘণ্টা মোবাইলে মগ্ন থাকে। কিন্তু ওই কয়েক ঘণ্টা শিশুদের জীবনে কতটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে তা বাবা-মায়েরা বুঝতে পারেন না।
ভারতের গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেক গেম চলে এসেছে, যা শিশু এবং তরুণদের রীতিমতো আচ্ছন্ন করে তুলছে। এর মধ্যে পাবজি, ফ্রি ফায়ার, ক্যান্ডি ক্রাশ, টেম্পল রান, লুডো কিং সহ আরও অনেক গেম রয়েছে যা আমরা আমাদের দৈনন্দিন রুটিনের অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছি। ক্যান্ডি ক্রাশ এবং লুডো এমনই এক অনলাইন গেম যা অফিসে কর্মরত প্রায় অনেক কর্মীর মোবাইলেই পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড স্ট্রেস থেকে বাড়ে মাইগ্রেন, আছে হরমোনাল কারণও, কী বলছেন চিকিৎসক, দেখুন
শুধু শিশুরা নয়, তরুণরাও অবসর সময়ে এসব খেলতে পছন্দ করেন। গেমিং ইন্ডাস্ট্রির দিক থেকে একে অবস্থার উন্নতি মনে করা হলেও ব্যক্তিগত ভাবে শিশুদের জন্য এই পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে চলেছে।
ডা. ঘনশ্যাম চাওলা নিউজ ১৮-এর মাধ্যমে অভিভাবকদের জানাতে চেয়েছেন যে, তাঁরা যেন শিশু এবং যুবকদের অনলাইন গেম থেকে দূরে রাখেন। এছাড়াও অবশ্যই শিশুরা মোবাইলে কী খেলছে এবং কী দেখছে সেদিকেও অভিভাবকদের মনোযোগ দেওয়া উচিত।