কলকাতা: মহিলাদের ক্ষেত্রে বয়স পঁয়ত্রিশ পার করলেই ইনফার্টিলিটি স্পেশালিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গর্ভপাতও কিন্তু বন্ধ্যাত্বের অন্যতম বড় কারণ। বয়স বেড়ে যাওয়াও বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব কিছু কিছু সময় জটিল ও বিষয়টা ইনফার্টিলিটি স্পেশালিস্টের নজরে আনতে হবে। সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার মাধ্যমে দম্পতিদের যন্ত্রণার উপশম করা যায়। এই প্রসঙ্গে কথা বলছেন রাধাকৃষ্ণ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. বিদ্যা ভি ভাট।
বয়স বেড়ে গেলে মহিলাদের কী সমস্য়া হবে?
তাঁর মতে, যত তাড়াতাড়ি মহিলাদের এই সমস্যা নির্ণয় করা যাবে, তত তাড়াতাড়িই তাঁদের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। এতে দ্রুত কনসিভ করতে পারবেন মহিলারা। পুরুষদের ক্ষেত্রে জীবনের দীর্ঘ সময় শরীরে শুক্রাণু তৈরি হয়। অন্যদিকে, মহিলাদের ক্ষেত্রে ডিম্বাণুর সংখ্যা জন্মের আগেই নির্দিষ্ট হয়ে যায়৷ এই সংখ্যা সর্বনিম্ন এক হতে পারে, এবং সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড স্ট্রেস থেকে বাড়ে মাইগ্রেন, আছে হরমোনাল কারণও, কী বলছেন চিকিৎসক, দেখুন
বেশী বয়স হয়ে গেলে কনসিভ করতে সমস্যা হয়
বয়ঃসন্ধি শুরু হওয়ার পর থেকে মেনস্ট্রুয়েশন ও ওভ্যুলেশন শুরু হলে তাঁদের ডিম্বাণু ধীরে ধীরে কমে আসতে থাকে। আর পেরিমেনোপজের সময় এসে তা কমে দাঁড়ায় কয়েকশোয়। এর অর্থ হল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাণুর মান এবং পরিমাণ উভয়ই কমে। ফলে বয়স বাড়লে মেয়েদের কনসিভ করতে সমস্যা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: দারুণ খবর! পুজোর আগে হলুদ ট্যাক্সিও হবে অ্যাপ ক্যাব, বড় ঘোষণা করল সরকার
মহিলাদের ক্ষেত্রে আদর্শ সন্তানধারণের বয়স কত?
মহিলাদের ক্ষেত্রে ফার্টিলিটির সেরা সময় হল ২৪ বছর থেকে ৩৪ বছর। আর ৩৬ বছর থেকে ধীরে ধীরে এটা হ্রাস পেতে শুরু করে। আর ৩৭ বছর হতে না হতেই ফার্টিলিটি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কমতে থাকে। আর মহিলারা চল্লিশের কোঠায় পৌঁছলেই প্রেগনেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা প্রাকৃতিক ভাবে কমেই যায়। এমনকী, আইভিএফ-এও তা কমতে শুরু করে। এই সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে সব সময়ই এক জন স্পেশালিস্টের সঙ্গে কথা বলা জরুরি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Infertility, Pregnancy