জলপাইগুড়ি জেলা রাজগঞ্জ বক্লে টাকিমারী তিস্তা চর ভরে গিয়েছে ঝিঙে চাষে। এ বছর ব্যাপক ফলন হয়েছে। এখানকার কৃষকরা হাইব্রিড জাতের ঝিঙেচাষ করছেন। চরের মাটি ও আবহাওয়া ভাল থাকায় সব ধরনের সবজির দারুন ফলন হয়। আর বাজারে ভাল দামে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। এখানকার উৎপাদিত ফসলের স্থানীয় বাজার ছাড়াও চাহিদা রয়েছে ভিন্ন রাজ্যেও। উৎপাদিত ঝিঙেচলে যায় বিভিন্ন প্রান্তে। অল্প খরচে ও অল্প সময়ে বেশি লাভবান হওয়া যায় বলে দিন দিন চাষ বাড়ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সাপ্তাহিক স্পেশ্যাল ট্রেন, মালদহ থেকে ছুটবে মুম্বই, জানুন সময়সূচি
অনুমান, দু'শো বিঘা জমির উপর এই চাষে আগ্রহী কৃষকরা। এমনিতেই খাদ্যরসিক বাঙালির ঝিঙে পোস্ত অন্যতম প্রিয় রেসিপি। তাই বাজারে স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতাদের মধ্যে এই সবজির চাহিদা রয়েছে। দামও ভাল পাওয়া যায়। তার ওপর এই তিস্তা চরের ঝিঙে আলাদাই স্বাদ। বর্তমানে বাজারে দাম যাচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। এই দামেই আমরা বিক্রি হচ্ছে।
এক কৃষক বলেন, "আমরা আমাদের কয়েক বিঘা জমির মধ্যে ঝিঙে চাষ করেছি। খুবই ভালো ফলন হয়েছে। কয়েকদিন আগে মটরশুঁটি চাষ করে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কৃষি দফতরের আধিকারিকরা চাষের বিষয়ে বলেন, তিস্তার চড় অথবা বিভিন্ন উর্বর জমিতে ভালো ঝিঙে চাষ হয়। তেমনই জলপাইগুড়ির টাকিবাড়ি সংলগ্ন এলাকার জমিও ভাল ফলনের উপযোগী।" তিনি আরও বলেন, কৃষকরা এই সবজি চাষ করে যে অর্থ লাভের পথ পেয়েছেন এতে খুশি সকলেই।
সুরজিৎ দে