বুকে অস্বস্তি বা ব্যথা:
এই উপসর্গ কখনওই অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ বুকে অস্বস্তি বা বুকে ব্যথার সঙ্গে কিন্তু হৃদযন্ত্রের সমস্যার যোগ থাকে। বুকে ব্যথা কেন হচ্ছে, সেটা বোঝাটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তাই বুকে অস্বস্তি হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
advertisement
আরও পড়ুন: সন্তানের মধ্যে এই উপসর্গগুলি দেখা যাচ্ছে? এখনই সতর্ক হন! বিপদ বাড়াতে পারে ইউটিআই; মত বিশেষজ্ঞের!
শ্বাসকষ্ট:
শ্বাসকষ্টেরও একাধিক কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হল শ্বাসজনিত সমস্যা এবং কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা। আচমকা শ্বাসকষ্ট হলে কিংবা তা স্থায়ী হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আচমকা ওজন বৃদ্ধি বা ওজন হ্রাস:
অনেক সময় ব্যাখ্যাতীত ভাবে ওজন কমে যেতে পারে। কিংবা ওজন বেড়েও যেতে পারে। এটা কিন্তু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়ে ইঙ্গিত করে। আচমকা ওজন কমে যাওয়ার পিছনে দায়ী হতে পারে ক্যানসার, হাইপারথাইরয়েডিজম অথবা হজম সংক্রান্ত সমস্যা। আবার ব্যাখ্যাতীত ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং মেটাবলিক সমস্যা।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাচ্ছেন করলা? এই ভুল করবেন না, সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাবে সুগার, বলছেন বিশেষজ্ঞ
অবসন্ন ভাব অথবা ক্লান্তি:
প্রতিটা সময় অতিরিক্ত ক্লান্তবোধ করলে কিংবা অবসন্ন লাগলে কিন্তু সেটা একেবারেই ভাল নয়। আর এমন হলে সেটা অবহেলা করা উচিত নয়। প্রতিনিয়ত ক্লান্তির নানা কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হল অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা, মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশন, স্লিপ অ্যাপনিয়া অথবা থাইরয়েডজনিত সমস্যা। এর কারণ কিন্তু শনাক্ত করা আবশ্যক।
মলত্যাগের অভ্যাসে বদল:
মলত্যাগের অভ্যাসে বদল এলে কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এর অনেক কারণ থাকতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম হল ক্রমাগত ডায়েরিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মলের সঙ্গে রক্তপাত ইত্যাদি। এগুলো গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল সমস্যা এমনকী কোলন ক্যানসারের উপসর্গও হতে পারে।
মাঝেমাঝেই প্রস্রাব পাওয়া অথবা মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত:
এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে তা কখনওই অবহেলা করা উচিত নয়। এর জন্য দায়ী হতে পারে ইউটিআই, কিডনিতে পাথর অথবা প্রস্টেট সমস্যা ইত্যাদি। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, দ্রুত রোগ ধরা পড়া জরুরি।
ক্রমাগত পিঠ-কোমরে ব্যথা:
পিঠ-কোমরে ব্যথা কিন্তু স্পাইনাল কর্ডের সমস্যার উপসর্গ হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, কিডনির সমস্যার কারণেও পিঠ-কোমরে ব্যথা হতে পারে। তাই ক্রমাগত পিঠে ব্যথা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।