লন্ডনের মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, ৫ থেকে ১০ সেকেন্ডের আলিঙ্গনই আদর্শ। গোল্ডস্মিথ ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, ছোট আলিঙ্গনের তুলনায় (মাত্র এক সেকেন্ড স্থায়ী) তুলনামূলক দীর্ঘ আলিঙ্গন তাৎক্ষণিক আনন্দ দেয়। চাপ কমে যায়। মন ভরে ওঠে ভালোবাসায়। এই নিয়ে একটি সমীক্ষাও চালানতাঁরা। তাতেই উঠে আসে আশ্চর্যজনক তথ্য।
আরও পড়ুন: হাত ধরার ধরন বলে দেয় সম্পর্কের গভীরতা! জানুন চমকে দেওয়া সব তথ্য
advertisement
এই সমীক্ষায় প্রথমে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষের চোখ বেঁধে দেওয়া হয়। তারপর একে অপরকে আলিঙ্গন করেন তাঁরা। এক সেকেন্ড, পাঁচ সেকেন্ড এবং ১০ সেকেন্ডের আলিঙ্গন। দীর্ঘ সময়ের আলিঙ্গনগুলিকেই সবচেয়ে বেশি নম্বর দিয়েছেন অংশ গ্রহণকারীরা। করোনা মহামারীর সময় আলিঙ্গন তো দূর, কাছাকাছি আসাই বারণ ছিল। সবাইকেই মেনে চলতে হচ্ছিল দূরত্ববিধি। এই পরিস্থিতিতে এমন সমীক্ষা যেন হাতে চাঁদ এনে দেয়।
আরও পড়ুন: চকোলেট সস মেখে সঙ্গম! উপহারে বিছানায় চমকে দিন সঙ্গীকে
আর আলিঙ্গনের পর স্কুইজ তো দুর্দান্ত। অংশগ্রহণকারীদের মতে, ক্রিস-ক্রস আলিঙ্গন সবচেয়ে আরামদায়ক। গবেষকরাও বলছেন, দীর্ঘ আলিঙ্গন খুব ছোট আলিঙ্গনের চেয়ে বেশি আনন্দদায়ক। তাছাড়া আলিঙ্গনের সময় সঙ্গী কী ভাববেন তা না চিন্তা করে সঙ্গী যে ধরনের আলিঙ্গনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন সে সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে। প্রথমবার আলিঙ্গন করলে খুব শক্ত বা হালকাভাবে হাগ করা উচিত নয়। বরং এমনভাবে হাগ করতে হবে যাতে অন্যজন অনুভূতিগুলো বুঝতে পারেন।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, আলিঙ্গনের সময় তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। সঙ্গীর চোখে চোখ রেখে মিষ্টি হাসি দিয়ে জড়িয়ে ধরতে হবে। দীর্ঘ আলিঙ্গন আরামদায়ক ঠিক কথা। কিন্তু তাই বলে খুব বেশি সময়ও নয়। আবার হঠাৎ করে আলাদা হয়ে যাওয়াও ঠিক হবে না। ধীরে ধীরে রোম্যান্টিকতার সঙ্গেই আলিঙ্গন শেষ করতে হবে। এটাই ‘জাদু কি ঝাপ্পি’!