ত্বকচর্চায় জোজোবা তেল:
ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়- জোজোবা তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যেমন ভিটামিন এ এবং ই এবং ওমেগা ৬। ভিটামিন ই-র প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটা ত্বকে প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে। পাশাপাশি জোজোবা তেল হিউমেক্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করে ফলে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে।
আরও পড়ুন: কোভিড থেকে সেরে উঠেই 'ব্রেন ফগ' রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে! জানুন
advertisement
শুষ্ক ত্বকের রুক্ষতা দূর করে- জোজোবা তেল শুষ্ক, খসখসে ত্বকের সমস্যা দূর করে। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকারিতা ত্বকের রঙ ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, যেহেতু এটা একটি হিউমেক্ট্যান্ট, তাই আর্দ্রতা হ্রাস রোধ করতে ত্বকের উপর একটি প্রতিরক্ষামূলক সীল তৈরি করে দেয়।
ব্রণ কমায়- ব্রণ নিরাময়ে জোজোবা তেলের জুড়ি নেই। ব্রণ প্রধানত ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সমস্যা। জোজোবা তেলে ব্যাকটেরিয়া বিরোধী বৈশিষ্ট রয়েছে। তাই ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটা দারুণ কাজে আসে।
বার্ধক্য রোধ করে- জোজোবা তেলের হাইড্রেটিং এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণাবলী বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলি ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এই তেল অসংখ্য চর্মরোগ এবং ক্ষত নিরাময়েও সমান উপকারী।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় স্বামী ঘরে ঢুকেই দেখলেন, ঝুলছে স্ত্রীর দেহ! ধূপগুড়িতে 'আসল' রহস্যের সন্ধানে পুলিশ
চুলের যত্নে জোজোবা তেল:
খুশকি তাড়ায়- জোজোবা তেলে পামিটিক এবং স্টিয়ারিক যৌগ রয়েছে। এটা চুলকে পুষ্টি যোগায়। মাথার ত্বকে জোজোবা তেল মাসাজ করার ফলে অতিরিক্ত হাইড্রেশন পাওয়া যায় যা খুশকি বা চুলকানি রোধ করতে সাহায্য করে।
চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে- জোজোবা তেলের অণুগুলি সেবামের সঙ্গে তুলনীয়। তাই এটা চুলকে হাইড্রেট করে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন চুল এবং মাথার ত্বকে জোজোবা তেল লাগালে চুল নরম এবং সিল্কি হয়।
পাকা চুল কম করে- কপারের ঘাটতির কারণে চুল তাড়াতাড়ি পেকে যায়। জোজোবা তেল প্রয়োগ করা এই প্রক্রিয়াটিকে ধীর করে দেয়। এতে তামা এবং ভিটামিন সি এবং ই এর মতো অন্যান্য উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।