প্রদীপ
মাটির প্রদীপের কাছে আর্টিফিসিয়াল লাইট অনেকটাই ফিকে থেকে যায়। তবে, মাটির প্রদীপ ভেঙে যাওয়ার জন্য আজকাল আর অনেকেই ব্যবহার করে না। কিন্তু তাও মাটির প্রদীপের ঐতিহ্য রয়েছে। সাধারণ মাটির প্রদীপকে সাজিয়ে তোলা যেতে পারে। ফ্যাব্রিক কালার বা অ্যাক্রিলিক কালার দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইন প্রদীপে করা যেতে পারে।
প্রদীপ সাধারণত দরজায়, ব্যালকনিতে এবং পুজোর ঘরে জ্বালানো যেতে পারে। এমন জায়গায় প্রদীপ দিতে হবে, যেখানে বাচ্চাদের আনাগোনা কম। এবং মাথায়, রাখতে হবে, আশপাশে যেন কোনও পর্দা, প্লাস্টিকের জিনিস বা আসবাবপত্র না থাকে।
advertisement
মোমবাতি
প্রদীপ ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকে বলে অনেকে প্রদীপের বদলে মোমবাতির ব্যবহার করে থাকে। এতে জ্বালাতেও সময় কম লাগে, পরিশ্রমও কম হয়। বিভিন্ন ধরনের মোমবাতি পাওয়া যায়। বিভিন্ন ডিজাইনের। ছোট-বড় মোমবাতি মিলিয়ে যে কোনও জায়গা সাজানো যেতে পারে।
কোনও টেবিলের একদিকে বেশ কয়েকটা মোমবাতি একসঙ্গে জ্বালানো যেতে পারে। এক্ষেত্রেও পর্দা ও আসবাবপত্র দেখে মোমবাতি রাখতে হবে যাতে আগুন না লেগে যায়। পাশাপাশি মোম যেহেতু গলে পড়ে তাই কোনও পাত্রে, সুন্দর কাঠের টুকরোর উপর বা কোনও প্ল্যাটারে এগুলি রাখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন : ডেঙ্গু থেকে দূরে থাকতে ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলি
ভাসমান প্রদীপ ও মোমবাতি
দীপাবলিতে বাড়িকে একদম ঐতিহ্যবাহী আমেজ দেওয়ার জন্য ভাসমান প্রদীপ ও মোমবাতি ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি পাত্রে জল দিয়ে তাতে এই প্রদীপগুলি রাখা যেতে পারে। শুধু প্রদীপ দিয়ে দেখতে ভালো না লাগলে ফুলের পাপড়ি দিয়ে সাজানো যেতে পারে।
টেবিলের মাঝে এই ভাসমান প্রদীপ রাখা যেতে পারে। টেবিলের ধারে যাতে এই পাত্রটি না চলে আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং পাত্রে পরিমাণ মতো জল দিতে হবে।
লম্বা প্রদীপ
পুজোর জায়গায় অনেক সময়ই আমরা ব্যবহার করে থাকে লম্বা দাঁড় করানো প্রদীপ। এই প্রদীপ দিয়ে পুজোর জায়গা সাজানো যেতে পারে। আশপাশে জায়গায় রেখে লম্বা প্রদীপ রাখা যেতে পারে। তাতে দেখতে ভাল লাগবে।
আরও পড়ুন : আপনার দু’টি চোখ বাঙ্ময় করে তুলতে পরুন বাড়িতে পাতা কাজল, তৈরি করা খুবই সহজ
ফেয়ারি লাইট
যদি মোমবাতি, প্রদীপের ঝামেলায় না যেতে মন চায়, তাহলে ফেয়ারি লাইট দিয়ে সাজানো যেতে পারে বাড়ি। বাড়ির উপর থেকে নীচে লম্বা লম্বা করে এই লাইট ঝুলিয়ে দেওয়া যায়, আবার কোনও কাচের বোতলে রেখেও ঘর সাজানো যায়।
লণ্ঠনের মতো আলো
টুনি লাইট বা ফেয়ারি লাইট ছাড়াও একটু বেশি বাজেটের লাইট কিনলে লণ্ঠন কেনা যেতে পারে। লণ্ঠনের মতোই ছাদ থেকে ঝোলানোর ব্যবস্থা থাকে এতে। এই ধরনের লাইট বিভিন্ন রঙের হয় ফলে হালকা রঙের যে কোনও দেওয়ালে লাগালে দেখতে বেশ ভাল লাগে। ব্যালকনি, বাড়িতে ঢোকার জায়গা বা কোনও কোণে এই লাইট ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন : রুটি নাকি ব্রাউন ব্রেড? কোনটা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী?
ব্যাটারিচালিত লাইট
বিভিন্ন রঙে, আকারে এবং ডিজাইনে এই ব্যাটারিচালিত লাইট পাওয়া যায়। যেহেতু তারের ঝামেলা থাকে না এবং আগুনের ঝামেলা থাকে না, তাই এই ধরনের লাইট যে কোনও জায়গায় লাগানো যেতে পারে।