মূলত, সাদা সিল্কের সুতোকে বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে তা দিয়েই তৈরি হচ্ছে রঙিন জাকার্ড শাড়ি, যা গরদ শাড়ি নামেই পরিচিত। একটি রঙের সিঙ্গল জাকার্ড যেমন বিকছে ঠিক একই ভাবে ডাবল রঙের জাকার্ডও কিনছেন ক্রেতারা। তার সঙ্গে এখন আবার যুক্ত হয়েছে থার্ড জাকার্ড। অর্থাৎ জাকার্ডের উপর তাঁতের ছোঁয়া। একটায় কাজ করা থাকছে পায়ের দিকে, আবার দ্বিতীয়টায় বডি এবং তৃতীয়টা মিনা। এই ত্রিমুখী নকশার অভিনবত্ব নজরে ধরেছে আধুনিকাদেরও। ইতি মধ্যেই এই জাকার্ড শাড়ি জিআই তকমা পেয়েছে। ফলে শাড়ির চাহিদাও তুঙ্গে ।
advertisement
তানা ও ভরণা এই দুই সুতোর মানের উপরই নির্ভর করে জাকার্ড শাড়ির দাম। তানার ভাল সুতো আসে বেঙ্গালুরু থেকে। কোরিয়ালে সাদা শরীরের দুই দিকে ৫ থেকে ৭ ইঞ্চির পাড়। বুনতে দিন সাতেক লাগে। রঙিন জাকার্ডেও দিন ৭-৮ দিন। ফলে দামও বেশি। কিন্তু চাহিদা থাকলেও মির্জাপুরে এই শাড়ি বাজারে সীমিত। কারণ জাকার্ডের কারিগর হাতে গোনা কয়েকজন। একটা জাকার্ড শাড়ি বুনতে কম করে আট দিন সময় লাগে। সে কারণে চাহিদার সঙ্গে জোগানের তাল মেলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁত শিল্পীদের। এই গরদ শাড়ি শুধু এই রাজ্যে নয়, দিল্লি মুম্বই মহারাষ্ট্র-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে রওনা দেয়।
শিল্পীদের কথায়, এবছর বেশ চাহিদা তুঙ্গে গরদ শাড়ি তৈরি করার জন্য। মুলত স্বর্ন চুরি, বালুচুরি-সহ বিভিন্ন গরদ শাড়ি তৈরি করা হয়েছে। উন্নত মানের ক্লাষ্টার মেশিনে তৈরি করা হচ্ছে এই শাড়ি। এবছর জরিবনার চাহিদা তুঙ্গে। ৪২০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে এই শাড়ি। শুধু তাই নয় ১২ হাজার, ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত শাড়ি বিক্রি করা হয়ে থাকে। সর্বোচ্চ দাম ২০হাজার টাকা। এছাড়াও স্বর্নচুরি তৈরি করা হচ্ছে। একটি শাড়ি তৈরি করে মজুরি মেলে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা। তবে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের মির্জাপুরে এই গ্রামের গরদ শাড়ি তৈরি করে চলেছেন শিল্পীরা। পুজোর আগে নাওয়া খাওয়া ভুলে কাজ করছেন এখন শিল্পীরা।