কনজাংটিভাইটিস কি
জেলা এমএমজি হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ নরেন্দ্র কুমার বলেছেন, চোখে একটি স্বচ্ছ পাতলা ঝিল্লি আছে, কনজাংটিভা। যা আমাদের চোখের পাতার ভেতরের অংশ এবং চোখের সাদা অংশকে ঢেকে রাখে, এতে সংক্রমণ হলেই তাকে কনজাংটিভাইটিস বলে। যখন কনজাংটিভার ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলি ফুলে যায়, তখন তারা আরও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয় এবং চোখের সাদা অংশ লাল বা গোলাপী দেখায়। ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণ বা চোখের অ্যালার্জির কারণে কনজাংটিভাইটিসের সমস্যা হতে পারে।
advertisement
কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ
লাল ফোলা চোখ: এই সমস্যার কারণে চোখ লাল হয়ে যায়। চোখের উপরের স্তরেও ফোলাভাব দেখা দেয়। যার কারণে ব্যথা হয় এবং অনেক সময় একটানা জল বের হয়।
চোখে জ্বালাপোড়া বা চুলকানি: কনজাংটিভাইটিস হলে চোখে জল পড়া বা পুঁজ পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়৷ বর্ষাকালে এটি আরও বেড়ে যায়৷ চোখের জ্বালা হলে ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন,তবে না সারলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চোখের চারপাশের ত্বক ঝকঝকে হওয়া: কনজাংটিভাইটিস হলে অনেক সময়েই চোখের চারপাশের ত্বক ঝকঝকে হওয়াও একটি লক্ষণ ।
আরও পড়ুন-প্রেগন্যান্সিতেও বাধা, কাজ করবে না ওষুধও, থাইরয়েড হলে ভুলেও এই ৪ জিনিস খাবেন না
আরও পড়ুন-এক পাশ ফিরে ঘুমোচ্ছেন? ত্বক তো ঝুলে যাবেই, বলিরেখায় ভরবে মুখ, সাবধান!
কীভাবে এড়িয়ে চলবেন
চোখে হাত দেওয়ার আগে হাত ভাল করে ধুয়ে নেওয়া জরুরি৷ এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। এই সময়টা আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন এবং হাত মেলাবেন না।
চোখে জ্বালা ও লালভাব হলে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
চোখে বারবার নোংরা হাত নেবেন না, চোখ চুলকাবেন না। প্রয়োজনে চশমা পড়ুন৷