গুরুতর মানসিক চাপের ফলে দেখা দিতে পারে টাকোটসুবো কার্ডিওমায়োপ্যাথি, যা ‘ব্রোকেন হার্ট সিন্ড্রোম’ নামেও পরিচিত, এমনই জানাচ্ছেন বেঙ্গালুরুর ফোর্টিস হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের ডিরেক্টর চিকিৎসক রাজপাল সিংহ।
আরও পড়ুনঃ একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? হাঁটতে অসুবিধা? হার্টের বড় অসুখ বাসা বাঁধল! চিকিৎসকদের পরামর্শ জানুন
advertisement
সাধারণত এক একজন মানুষের মানসিক উদ্বেগের ধরন এক একরকম হতে পারে। কারও অ্যাকিউট স্ট্রেস হয়, কারও এপিসোডিক অ্যাকিউট, কারও আবার ক্রনিক হতে পারে। এর উপর ভিত্তি করেই বৈশিষ্ট্য, লক্ষণ, উপসর্গ, সময়কাল এবং চিকিৎসা পদ্ধতি বিন্যাস করা হয়।
মানসিক চাপ মানেই খারাপ নয়, এটি দৈনন্দিন কাজের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। সুস্থ স্ট্রেস একজন ব্যক্তিকে সতর্ক হতে, চিন্তাশীল হতে অনুপ্রাণিত করে। কিন্তু অত্যধিক চাপ ক্ষতিকারক হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ থাইরয়েডের কারণে ওজন বাড়ছে? নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাতে থাকুক এই সব খাবার, পরামর্শ বিশেষজ্ঞের
অ্যাকিউট স্ট্রেসঃ
খুব অল্প সময়ের জন্য চাপ অনুভব করে থাকি আমরা সকলেই, ঘন ঘন এমন হওয়াও স্বাভাবিক। অদূর ভবিষ্যতের কোনও ঘটনা বা চাহিদা সম্পর্কে অতিরিক্ত বা নেতিবাচক চিন্তার কারণে ঘটতে পারে। এতে ক্ষণস্থায়ী মানসিক যন্ত্রণা, মাথাব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, কখনও কখনও ক্ষণস্থায়ী পেট, অন্ত্র এবং অন্ত্রের সমস্যা, অম্বল, অ্যাসিড পেট, পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ সুস্থ সন্তান কামনায় গর্ভধারণের আগেই প্রয়োজন বীজসংস্কার! জেনে নিন কী বলছে আয়ুর্বেদ?
এপিসোডিক অ্যাকিউট স্ট্রেসঃ
এ ক্ষেত্রে প্রায়ই কোনও ব্যক্তি তীব্র মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। এতে জীবনে সঙ্কট ও বিশৃঙ্খলা বাড়তে পারে। এ ধরনের মানুষের আবার দু’টি ভিন্ন ধারা থাকতে পারে। ‘টাইপ এ’—এঁরা সাধারণত খুব ঘন ঘন মানসিক চাপে আক্রান্ত হন। তখন তাঁরা অধৈর্য, আক্রমণাত্মক হয়ে পড়েন। অন্য পাশে ‘উদ্বিগ্ন’ ধরনের মানুষেরা সব সময় সব কিছু নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করতে থাকেন। এ থেকে করোনারি হার্ট ডিজিজের মতো রোগও হতে পারে।
ক্রনিক স্ট্রেসঃ
গুরুতর, দীর্ঘস্থায়ী, ক্ষতিকারক ধরনের স্ট্রেস হল ক্রনিক স্ট্রেস। কোনও কোনও ব্যক্তি শৈশবকালের বিরূপ অভিজ্ঞতার কারণে বা তাঁদের জীবনে কোনও আঘাত থেকে এ ধরনের সমস্যায় ভুগতে পারেন।