শিবরাত্রি রায়তা-
রাতভর জেগে থাকার জন্য প্রয়োজন হয় একাগ্রতার৷ কিছু আহার্য থাকে, যা আমাদের রাত জাগতে সাহায্য করে৷ এই রায়তা তৈরি করা হয় রাঙা আলু সিদ্ধ করে৷ তার সঙ্গে ভাজা বাদাম, শশা, টকদই মিশিয়ে৷ এই আহার্যে শরীর ভাল থাকে৷
সাবুদানা খিচুড়ি-
ডাল বা শস্যদানা নয় এমন খাবার হিসেবে মহাশিবরাত্রি ব্রতের দিন বেছে নেওয়া হয় সাবুদানাকে৷ নন-সেরেয়াল এই খাবারে আছে স্টার্চ কার্বোহাইড্রেটস৷ ব্রতসহায়ক এই খাবারে শরীর ভাল থাকে৷ শরীরের পক্ষে পুষ্টিসাধনও হয়৷
advertisement
আরও পড়ুন : মহাশিবরাত্রিতে পঞ্চামৃতের গুরুত্ব কোথায়? কীভাবে তৈরি করবেন পঞ্চামৃত?
সাবুদানা পরোটা-
পুরনো রেসিপিকে দিন নতুন সাজ৷ বাদামকুচি, টোম্যাটো, আলু, ধনেপাতা, কাঁচালঙ্কা, ধনে দিয়ে মণ্ড মেখে তৈরি করুন পরোটা৷ সাবুদানা বড়া এবং সাবুদানা ক্ষীরও জনপ্রিয় ও সুস্বাদু রেসিপি উপবাসে৷
সাবুমাখা-
রাতভর সাবুদানা ভিজিয়ে রেখে মাখুন দুধ বা দই দিয়ে৷ সঙ্গে দিন স্বাদমতো চিনি, বেদানা, পেঁপে, শশা, আঙুরের মতো ফল৷ উপবাসক্লান্ত শরীরে এই ফলাহার খুবই উপকারী ও উপাদেয়৷
আরও পড়ুন : মহাশিবরাত্রিতে উপবাসের বিধি কী কী? এই ব্রত পালনের রীতিই বা কী?
কুট্টু চিল্লা-
কুট্টু কা আটা থেকে তৈরি করে নিন চিল্লা৷ এতে পেট ভরা থাকে দীর্ঘ ক্ষণ৷ শরীরও তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি লাভ করে৷
মাখানা ক্ষীর-
পদ্মবীজ বা মাখানাকে বলা হয় সুপারফুড৷ স্বাস্থ্যের জন্য মাখানা অত্যন্ত উপকারী৷ উপবাসভঙ্গের জন্য মাখানা দিয়ে তৈরি করতে পারেন ক্ষীরও৷
আরও পড়ুন : বাড়িতে মহাশিবরাত্রি পুজো করলে কী কী উপকরণ প্রয়োজন হবে? কোন প্রহরে কোন উপকরণে পুজো করবেন?
আলু জিরা-
জিরে, ধনে, হলুদ দিয়ে তৈরি করুন আলুর তরকারি৷ হাল্কা ও সুস্বাদু এই খাবার উপবাসভঙ্গের মুখে খেতে ভাল লাগবে৷